ঢাকা২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘কিং অব কুড়িগ্রামের’ দাম ১০ লাখ টাকা

জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
জুন ৩০, ২০২২ ৯:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় এবারের কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করা একটি গরুর নাম রাখা হয়েছে ‘কিং অব কুড়িগ্রাম’। গরুটির দাম ১০ লাখ টাকা হাঁকছেন উপজেলার চাকিরপাশা ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের খামারি পারুল বেগম। এক হাজার কেজি ওজনের সাড়ে তিন বছর বয়সী কিং অব কুড়িগ্রামকে দেখতে প্রতিদিন তার খামারে ভিড় করছেন অনেক দর্শনার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার পাঠকপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর স্ত্রী পারুল বেগম দীর্ঘ ৭ বছর আগে তিনটি বকনা বাছুর দিয়ে ছোট পরিসরে একটি খামার শুরু করেন। পরে ধীরে ধীরে এই খামারে গরু বাড়তে থাকে। খামার করার দুই বছর পর থেকে প্রতিবছর একটি করে গরু তিনি বিক্রি করেন। বর্তমানে দুটি ষাঁড়, তিনটি বকনা বাছুর ও তিনটি গাভিসহ তার খামারে মোট ৮টি গরু রয়েছে।

প্রায় সাড়ে তিন বছর পূর্বে একটি হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি থেকে জন্ম নেয় একটি বাছুর। ক্রমাগতভাবে বাছুরটি বড় হতে থাকে। বর্তমানে বাছুরটি একটি বিশাল ষাঁড়ে পরিনত হওয়ায় খামারের মালিক পারুল বেগমের স্বামী এটির নাম রেখেছেন ‘কিং অব কুড়িগ্রাম’ অর্থ্যাৎ কুড়িগ্রামের রাজা।

পারুল বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এর আগেও একাধিক ষাঁড় বিক্রি করেছিলেন তারা। তবে এটি এত বিশাল আকৃতির হবে বুঝতেও পারেননি। বর্তমানে কুড়িগ্রামের রাজা নামের এই ষাঁড়টির ওজন হয়েছে প্রায় এক হাজার কেজি। প্রতিদিন ১০ কেজি দানাদার খাদ্যসহ খড় ও কাঁচা ঘাস খাওয়াতে ষাঁড়টির পেছনে দিনে তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়।

পারুল বেগমের ছেলে রিয়াদ বলেন, গরুটি আমার বাবার সখের, মা গরুটিকে লালনপালন করছেন। বাবা ভালোবাসে নাম রেখেছেন ‘কিং অব কুড়িগ্রাম’। গরুটি দেখতে খুব সুন্দর তাই আশপাশের লোকজন দেখতে আসেন। বাড়ির পাশে বড় হাট না থাকায় হাটে তুলতে পারছি না। এখন পর্যন্ত বাড়িতে এসে ছয় লাখ টাকা দাম বলে গেছে। আমরা এর চেয়েও আরও বেশি আশা করছি, দেখা যাক কী হয়।

পারুল বেগম বলেন, আমি দুইটা মাত্র গরু দিয়ে খামার শুরু করি। বর্তমানে আমার খামারে গরুর সংখ্যা আটটি। আগেও আরও আটটি গরু বিক্রি করছি। তার মধ্যে দুইটা ষাঁড় রয়েছে। আমাদের কিং অব কুড়িগ্রাম সবচেয়ে বড়। দেখতে ভালো লাগায় এটাকে বড় করছি। খুব আদর করে গরুটিকে বড় করছি, বিক্রি করলে খারাপ লাগবে। তারপরও আমরা এটাকে বিক্রি করব।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন পবিত্র কুমার বলেন, ইদ্রিস আলী ও পারুল বেগম দম্পতির পালিত ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘কিং অব কুড়িগ্রাম’। ষাঁড়টির ওজন প্রায় এক হাজার কেজির ওপরে। আমাদের অফিসের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ষাঁড়টি বড় হয়েছে। এই ষাঁড়টি নায্যমূল্যে বিক্রি হলে এই এলাকার অন্যন্য খামারিরা উৎসাহিত হবে এবং খামারের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি।

কুড়িগ্রাম প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামে ছোট বড় গরুর খামারের সংখ্যা ১ হাজার ৭০টি। আর গরুর সংখ্যা প্রায় ৯ লাখেরও বেশি। রাজারহাট উপজেলার ‘কিং অব কুড়িগ্রাম’ ষাঁড়টি জেলার সবচেয়ে বড়।