ঢাকা১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গণজাগরণ শুরু, আন্দোলন বিজয় দ্বারপ্রান্তে: ফখরুল

জনবার্তা প্রতিবেদন
আগস্ট ৩, ২০২৪ ৪:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশজুড়ে গণজাগরণ শুরু হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বলে মনে করেন তিনি।

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে বনানীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দলের স্থায়ী কমিটির কারাবন্দি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসায় তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে এখন একটা জাগরণ শুরু হয়ে গেছে। আপনারা লক্ষ্য করে দেখছেন যে, এখন শিক্ষার্থীদের কোটা বৈষম্যবিরোধী যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনে সাধারণ সমস্ত মানুষ যোগ দিয়েছে। শুধু ছাত্ররা নয় এখন… অভিভাবক, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিকসহ সব পেশার মানুষরা সবধরনের মানুষেরা কিন্তু এখন এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। তারা যুক্ত হয়েছেন সব ভয়কে উপেক্ষা করে… এটাই হচ্ছে, এবারকার আন্দোলনের সবচেয়ে বড় যে দিকটা, মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে, জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।’

‘আমি মনে করি, এই আন্দোলন তার বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে গেছে। আমি বিশ্বাস করি ইনাশাল্লাহ জনগণের বিজয় অবশ্যই হবে, ছাত্র-শিক্ষার্থীদের বিজয় অবশ্যই হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে, ছাত্ররা যখন আন্দোলন শুরু করেছে, তখনই এর যে যৌক্তিকতা তা নিয়ে আমরা কথা বলেছি, আমরা তাদের সঙ্গে সহযোগিতা শুধু নয়, তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছি।’

‘আমরা এখনো ওটা শুধু নয়, আরও বেশি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, ছাত্রদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে আমাদের শুধু সমর্থন নয়, সর্ব রকমের সহযোগিতা তাদের প্রতি থাকবে। যেহেতু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এটা, সেজন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের যে দায়িত্ব-কর্তব্য সেই দায়িত্ব-কর্তব্য আমরা পালন করছি, আমরা করতে থাকব। আমাদের সারাদেশে সমস্ত দেশের নেতাকর্মীর প্রতি এই আহ্বান জানাতে চাই, ছাত্রদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে সবাই সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করুন।’

‘তরুণদের জাগরণ’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যেটা সব সময় বলে আসছিলাম, তরুণদের জাগ্রত হবার কথা। সেই তরুণরাই এবার জেগে উঠেছে। এজন্যেই আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। আশাবাদী এই কারণে যে, তরুণরা যখন জেগে উঠে, ছাত্ররা যেখানে জেগে উঠে, যুবকরা যেখানে জেগে উঠে সেই আন্দোলনকে পরাজিত করা কারো পক্ষে সম্ভব না।’

‘আজকে ভয়াবহ যে দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকার, তারা যেভাবে হত্যা করেছে আমাদের সন্তানদের, সেটা অবর্ণনীয়, ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়, শত শত ছাত্রকে তারা হত্যা করেছে। আমরা যখন আবার দেখতে পাই যে, তাদের গণকবর দেওয়া হয়েছে। আমি যেটা দেখলাম, পত্রিকায় ৫৯ জনকে গণকবর দেওয়া হয়েছে… এটা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকেও তো হারিয়ে যাচ্ছে, চিন্তাই করা যায় না এটা।’

‘কারাগারে মানবেতর অবস্থা’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি এখানে এসেছিলাম, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাহেবের বাসায় তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য। এর আগে আমি গিয়েছিলাম নজরুল ইসলাম খান সাহেবের বাসায় তার স্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্য। তার স্ত্রী অত্যন্ত অসুস্থ, আপনারা জানেন সবই। মূলত আসার কারণটা হচ্ছে, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি, কারাগারে শুধু তাদের নয়, সমস্ত রাজনৈতিক বন্দি মানবেতন জীবন-যাপন করছেন। তাদের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই, তারা কোনো কিছু পাঠাতে পারছেন না, যোগাযোগই করতে পারছেন না। এটাকে আপনার টোটালি আইসোলেটেড বলা যায়।’

‘এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য না, এটা জেল কোডের বাইরেও বটে। তারা (বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য্) অসুস্থ মানুষ, বয়স্ক মানুষ… নজরুল ইসলাম খান ভাই ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ভাই অসুস্থ মানুষ, বড় বড় অসুখ আছে। তারা তাদের ওষুধপত্র ঠিকমতো পাঠাতে পারছেন না। এমনকি ইনসোলিন সেটাও সঠিকভাবে পাঠাতে পারছেন না। আমি আপনাদের মাধ্যমে জেল কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, এই অমানবিক কাজগুলো এই মুহূর্তে করবেন না। আপনারা অতীতে অনেক করেছেন, এখন দয়া করে এই অমানবিক কাজগুলো করবেন না।’

বেলা ১১টায় বিএনপি মহাসচিব প্রথমে যান বনানী ডিওএইচএসে দলের কারাবন্দি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের বাসায় তার অসুস্থ স্ত্রী কান্তা ইসলামকে দেখতে যান। এই সময়ে তার ছেলে অনিক খান, স্ত্রী রাবেয়া আক্তার রাখি খান ছিলেন।

পরে বনানীতে কারাবন্দি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর স্ত্রী তাহেরা খসরুর সাথে দেখা করেন। এ সময় তার ছেলে ইসরাফিল খসরু উপস্থিত ছিলেন। মহাসচিব তাদের খোঁজখবর নেন।

গত ২১ জুলাই নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে তাদের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করে।

দুই নেতার পরিবারের সাথে সাক্ষাতের সময় বিএনপি মহাসচিবের সাথে ছিলেন দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ও মহাসচিবের একান্ত সহকারী ইউনুস আলী।