বিআরটিএ কর্তৃক দেয়া হালকা মোটরযান (মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার) চালানোর লাইসেন্স দিয়ে চালক মোহন খান চালাতেন ‘বাসার স্মৃতি’ নামের ঝালকাঠি মালিক সমিতির একটি যাত্রীবাহী বাস। আর সেই বাস দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয় ১৭ জন যাত্রীর। গাড়িটির চালক মোহন ওই গাড়িরই সুপারভাইজার ছিলেন। তিন বছর চাকরির পর বাসের মালিক আবুল কালাম আকন তাকে হালকা যানের ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে দিয়ে মোহনকে চালকের দায়িত্ব দেয়।
ঝালকাঠি আন্তজেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা এবং দুর্ঘটনার পর গঠিত হওয়া তদন্ত কমিটির এক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, চালক মোহন খানের কাছে হালকা মোটরযান (মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার) চালানোর লাইসেন্স ছিল। তিনি ২০২০ সালে বিআরটিএ বরিশাল সার্কেল থেকে হালকা যান চালানোর লাইসেন্সটি পেয়েছিলেন। তবে ‘বাশার স্মৃতি পরিবহন’ বাসটি চালানোর লাইসেন্স তার ছিল না তার। বাসের ফিটনেস এবং রোড পারমিটের কাগজপত্র হালনাগাদ ছিল বলে জানান তারা।
এদিকে ঝালকাঠির ছত্রকান্দা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনাটি চালকের অসাবধানতার কারণে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাসটির যাত্রী আর বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, বাস চালানোর সময়ে চালক কথা বলতে থাকায় এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের পুকুরে গিয়ে পড়ে।
এ ছাড়া বাসটি অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ছিল। ঘটনার তদন্তে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুন শিবলীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে একজন নেয়া হয়েছে।