ঢাকা১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি ৩রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলায় যত অভিযোগ, আসামি যারা

জনবার্তা প্রতিবেদন
আগস্ট ১৪, ২০২৪ ৩:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের তল্লাশি ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে মামলার আবেদন করেছে দলটি। ২০২২ ও ২০২৪ সালে দুইবার পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযানের সময়ে আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ভাঙচুর, লুটপাট, নগদ টাকা নিয়ে যাওয়া ও ডাকাতির অভিযোগ এনে মামলা দুটি করা হয়। এতে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদসহ একটিতে ১৫, অন্য আরেকটি অভিযোগে ১৬ জন পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে পল্টন মডেল থানায় বিএনপির ‘মামলা তথ্য ও সংরক্ষণ’ বিষয়ক কর্মকর্তা সালাহ খান বাদী হয়ে দুটি মামলার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগগুলো গ্রহণ করেছেন পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেন্টু মিয়া।

সাবেক আইজিপি ও গোয়েন্দা প্রধানের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

কী অভিযোগ বিএনপির, আসামি যারা
বিএনপির ‘মামলা তথ্য ও সংরক্ষণ’ বিষয়ক কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন খান বলেন, ‘আপনারা জানেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পুলিশ অফিসারা অনেক মিথ্যা মামলা দিয়েছে, হয়রানি করেছে, আমাদের গুম করেছে। সর্বশেষ ২০২২ সালের একটি ঘটনা নিয়ে এসেছি। হারুন অর রশীদ, মেহেদি হাসান, বিপ্লব কুমার এরা আমাদের অফিসের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আমাদের অফিসের সব মালামাল নিয়ে যায়। প্রায় ৪৭ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করেছে। আর তিন লাখ ৫০ টাকার মালামাল নষ্ট করেছে। সেই সংক্রান্ত একটা মামলার অভিযোগ আজকে আমরা এখানে এফআইআর জমা দিয়েছি।’

সালাহ উদ্দীন খান বলেন, ‘দ্বিতীয়টা ১৬ জুলাই। সেদিন ডিবির হারুন অর রশীদ, ডিএমপির মেহেদি হাসান, বিপ্লব কুমার দাস এরা অস্ত্র তৈরি করার হাতিয়ারসহ বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ নিয়ে আমাদের কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের কক্ষে রাখে, তৃতীয় তলা অবৈধ বোম রাখে। একটা নাটক সাজিয়ে তারা বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এই যে তারা (পুলিশ কর্মকর্তারা) অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ, বোম রাখল, কার্যালয়ের বাইরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভয়ভীতি দেখালো, তার একটি অভিযোগ নিয়ে আমরা এসেছি। আমরা ডিউটি অফিসার এসআই মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছি। পরে ওসি সেন্টু মিয়া অভিযোগগুলো গ্রহণ করেছেন। মামলা নম্বর ১ এবং ২।’

মামলা বিবাদীরা হলেন- পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা প্রধান) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম, হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিমজম) আসাদুজ্জামান, যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) খন্দকার নুরন্নবী, সনজিত কুমার রায়, যুগ্ম পুলিশ কমিশার (ডিএমপি) বিপ্লব কুমার দাস, মেহেদি হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন) তারিক বিন রশিদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (মতিঝিল জোন) হায়াতুল ইসলাম খান, এডিসি (সোয়াট টিম) জাহিদুল ইসলাম, এসি (মতিঝিল জোন) গোলাম রুহানী, পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন মিয়া, এসআই (পল্টন মডেল থানা) মিজানুর রহমান।

ঘটনার বিবরণে বলা হয়, ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ প্রবেশ করে লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ডাকাতি যাওয়া মালামালের মূল্য ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এতে ক্ষতির পরিমাণ দেওয়া হয়েছে তিন লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা। এই অভিযোগ পুলিশ প্রধানসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়।

আরেকটি অভিযোগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সাদা পোশাকে নয়াপল্টনের অফিসে প্রবেশ করে এবং বাইরে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা অস্ত্র-গোলা বারুদ, বাঁশের লাঠিশোটা, রড, পিস্তল নিয়ে মহড়া দেয়। তারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তছনছ এবং অবৈধ অস্ত্র-সস্ত্র রেখে দেয়। তারা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ মহানগর নেতাদের আসামি করে মিথ্যা মামলা করে।

এই অভিযোগ হারুন অর রশীদ ছাড়াও ডিএমপির ১৬ জন কর্মকর্তা নাম দেওয়া হয়।

তারা হলেন, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মহিদ কবির সেরনিয়াবাত, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আফসার উদ্দিন খান, সাইফুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ কমিশনার এরশাদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) কবির হোসেন চৌধুরী, এসআই মনিরুজ্জামান, নুরুল ইসলাম, ফরমান আলী, এএসআই স্বপন মিয়া, রেজাউল করীম, এরশাদ আলী, রবিউল ইসলাম, ইব্রাহিম শেখ, কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, মেহেদি হাসান মাসুদ।