পিরোজপুরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মারুফ হাসানসহ চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মারুফ হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ বদিউজ্জামান রুবেল, যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ শিকদার ও ভান্ডারিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শামিম হাওলাদার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের দলীয় পদসহ দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাদের অপকর্মের কোনো দায়দায়িত্ব দল নেবে না।
এ ছাড়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে বহিষ্কৃত নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মারুফ হাসান বলেন, গত ৫ আগস্ট জেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা আমার নেতৃত্বে মিছিল করার সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইখতেয়ার মাহমুদ সজল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে কিছু করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসন আমলে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ বাড়ি-ঘরে একাধিকবার ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ঘরে এক দিনও ঘুমাতে দেওয়া হয়নি। প্রায় একই ধরনের বক্তব্য দলের বহিষ্কৃত অন্য নেতাদেরও।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বলেন, যুবদলের আহ্বায়ক মারুফ হাসান শহরের অত্যন্ত সভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। কোনো ব্যক্তি ও গ্রুপ মারুফসহ অন্যদের হয়রানি করতে তাদের বিরুদ্ধে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে মিথ্যা তথ্য দিতে পারে।