ঢাকা১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইসলাম ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে, নবীজির ভবিষ্যদ্বাণী

জনবার্তা প্রতিবেদন
আগস্ট ১২, ২০২৪ ৫:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশ্বব্যাপী ইসলামের সম্প্রসারণ নিয়ে মহানবী (স.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে। নবীজির হাদিস অনুযায়ী, দেশে দেশে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে ইসলামি আদর্শ। আল্লাহ তাআলা অনেককে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণের তাওফিক দিয়ে সম্মানিত করবেন। আবার কেউ ইসলামের বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য হবে।

হজরত মিকদাদ (রা.) বলেন, তিনি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছেন- পৃথিবীতে এমন কোনো মাটির ঘর বা পশমের ঘর (তাঁবু) বাকি থাকবে না, যেখানে আল্লাহ ইসলামের বাণী পৌঁছে দেবেন না। সম্মানিত ব্যক্তির ঘরে সম্মানের সঙ্গে এবং অসম্মানিত ব্যক্তির ঘরে অসম্মানের সঙ্গে। আল্লাহ যাদের সম্মানিত করবেন, তাদের স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণের উপযুক্ত করে দেবেন। পক্ষান্তরে তিনি যাদের অসম্মানিত করবেন, তারা (করদানের মাধ্যমে) ইসলামের বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য হবে। রাবি মিকদাদ (রা.) বলেন, ‘(এ কথা শুনে আমি বললাম) তখন তো তাহলে গোটা দ্বীন আল্লাহর হয়ে যাবে।’ (অর্থাৎ সব দ্বীনের ওপর ইসলাম বিজয়ী হবে)। (মুসনাদ আহমদ: ২৩৮৬৫; মুসতাদরাক হাকেম: ৮৩২৪)

এই হাদিস বিশ্বব্যাপী ইসলামের রাজনৈতিক বিজয়ের ইঙ্গিত দেয় এবং এটিকে পবিত্র কোরআনের সুরা সফ-এর ৯ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা হিসেবে অনেক মুহাদ্দিস মন্তব্য করেছেন। (মিরআত: ১/৬৮)

সুরা সফ-এর সেই আয়াতটি হলো—‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি তাঁর রাসুল (মুহাম্মদ)-কে প্রেরণ করেছেন পথনির্দেশ ও সত্য দ্বীন সহকারে। যাতে তিনি একে সব দ্বীনের ওপর বিজয়ী করে দেন। যদিও অংশীবাদীরা এটা পছন্দ করে না।’ (সুরা সফ: ৯)

কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলেমদের অভিমত হলো—পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন যুগে আল্লাহর সৎকর্মশীল মুজাহিদ বান্দাদের মাধ্যমে ওই ওয়াদা বাস্তবায়িত হতে থাকবে এবং একসময় ইমাম মাহদি ও ঈসা (আ.)-এর আগমনের পরে বিশ্বব্যাপী ইসলামী শাসন কায়েমের মাধ্যমে ওই ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণভাবে কার্যকর হবে। (সূত্র-আবু দাউদ: ৪২৮৪)

মহানবী (স.) উম্মতকে বিশ্বজয়ের সুসংবাদ দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ পৃথিবীকে আমার জন্য সংকুচিত করে দিয়েছেন (নিকটবর্তী করে দেওয়ার অর্থে) এবং আমাকে এর পূর্ব ও পশ্চিম সীমানা দেখানো হয়েছে। আর যতটুকু আমার জন্য সংকুচিত করা হয়েছে, ততটুকুতে অচিরেই আমার উম্মতের রাজত্ব বিস্তার লাভ করবে।’ (আবু দাউদ: ৪২৫২)

অন্য হাদিসে ইসলামের রাজনৈতিক বিজয়ের কালানুক্রমিক বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে নবুয়ত থাকবে যতদিন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন; অতঃপর তা উঠিয়ে নেবেন। এরপরে নবুয়তের তরিকায় খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে, আল্লাহ যতদিন ইচ্ছা সেটা রেখে দেবেন; অতঃপর উঠিয়ে নিবেন। এরপর অত্যাচারী রাজাদের আগমন ঘটবে, আল্লাহ যতদিন ইচ্ছা তাদের রেখে দেবেন; অতঃপর উঠিয়ে নেবেন। অতঃপর জবরদখলকারী শাসকদের যুগ শুরু হবে, আল্লাহ যতদিন ইচ্ছা তাদের রেখে দেবেন; অতঃপর উঠিয়ে নেবেন। এরপর নবুয়তের তরিকায় পুণরায় খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে—এই পর্যন্ত বলে আল্লাহর রাসুল (স.) চুপ হয়ে গেলেন।’ (মুসনাদ আহমদ: ১৮৪৩০)

আমরা জানি, ১১ হিজরিতে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর ইন্তেকালের মধ্য দিয়ে নবুয়তের যুগ শেষ হয়। অতঃপর তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী খেলাফতে রাশেদাহর ৩০ বছর অতিক্রান্ত হয়। (তিরমিজি: ২২২৬)

এরপরে উমাইয়া ও আব্বাসীয় ও তৎপরবর্তীদের মাধ্যমে অত্যাচারী রাজাদের যুগ শেষ হয়। অতঃপর বর্তমানে বিভিন্ন দেশে নামে-বেনামে জবরদখলকারী শাসকদের যুগ চলছে। গণতন্ত্রের নামে দলীয় স্বৈরাচার ও নেতৃত্বের লড়াই এখন ঘরে ঘরে। নবীজির ভবিষ্যদ্বাণীর দিকেই বর্তমান পৃথিবী অগ্রসর হচ্ছে বলে মনে করছেন ইসলামি স্কলাররা।

মুমিনদের বিশ্বাস করা জরুরি যে, নবীজি যত ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, সব আল্লাহর পক্ষ থেকেই করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং সে মনগড়া কথাও বলে না। এটা তো ওহি, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।’ (সুরা নাজম: ৩-৪) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না, তাঁর মনোনীত রাসুল ছাড়া।’ (সুরা জ্বিন: ২৬-২৭)