ঢাকা২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এবার ডুবছে চট্টগ্রাম নগরী

জনবার্তা প্রতিবেদন
জুন ২০, ২০২২ ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

টানা ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর বেশিরভাগ এলাকা ডুবে গেছে। রবিবার (১৯ জুন) সারাদিন বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এখনও সড়কে পানি জমে থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সোমবার (২০ জুন) সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও জলাবদ্ধতায় সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর বাকলিয়া, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড়, ছোটপুল, বড়পোল, আগ্রাবাদ ব্যাপারীপাড়া, মহুরিপাড়া, সিডিএ আবাসিক, আতুরার ডিপো, চকবাজার, বায়েজিদ, ইপিজেড ও পতেঙ্গার নিম্নাঞ্চলে পানি জমে আছে। সেই সঙ্গে জোয়ারের পানি একত্রিত হয়ে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব এলাকার বেশিরভাগ বাড়ির নিচতলায় পানি প্রবেশ করেছে।

নগরীর পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বিকালের পর ভারী বৃষ্টিতে সড়কে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে যায়। এ কারণে সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টা-১০টার দিকে যারা দোকান-পাট বন্ধ করে চলে গেছেন, তাদের দোকানে পানি প্রবেশ করে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। যারা রাত ১২টা পর্যন্ত দোকানে ছিলেন, তারা কোনোভাবে মালামাল সরানোর সুযোগ পেয়েছেন।

এদিকে বহদ্দারহাট এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসাতেও হাঁটু সমান পানি জমেছিল। এখনও পানি আছে মেয়রের বাসায়। এদিকে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থিত মা ও শিশু হাসপাতালেও নিচতলায় পানি প্রবেশ করেছে। এ কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

নগরীর ইপিজেড এলাকার বাসিন্দা সোলেমান আলম বলেন, ‘বৃষ্টিতে এতদিন ইপিজেড এলাকার নিচু বাসায় পানি প্রবেশ করেছিল। রবিবার রাতের বৃষ্টিতে বেশিরভাগ এলাকায় পানি উঠেছে। যেসব এলাকায় আগে কখনও পানি উঠতো না, সেসব এলাকাতেও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।’

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রবিবার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টায়) চট্টগ্রামে ২১৪ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সারাদিন ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা আছে। এ কারণে পাহাড় ধস হতে পারে। তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কমতে পারে।’