ঢাকা১৬ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৯ই জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি ২রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এমপি আনোয়ারুলকে কালীগঞ্জেই খুন করা যেত, ভারতে কেন, প্রশ্ন আ.লীগ নেতার

জনবার্তা প্রতিবেদন
মে ২৩, ২০২৪ ২:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার কোনো প্রটোকল ছাড়াই চলাফেলা করতেন। রাত ১টা, ২টা নেই যখন যেখানে প্রয়োজন ছুটে যেতেন। একা মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়াতেন। ওনার মতো একজন এমপিকে খুব সহজেই কালীগঞ্জের মাটিতে খুন করা যেত। ভারতে গিয়ে ওনাকে কেন হত্যা করতে হবে। ভারতের কেউ জড়িত না থাকলে এমন নৃশংসভাবে একটা মানুষকে হত্যা করা সহজ নয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে ঝিনাইদহে আনারের অফিসের সামনে বসে কথাগুলো বলছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন। তার ভাষ্যমতে ভারতের লোকজন এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে (হত্যাকাণ্ডে) একটা চক্র কাজ করেছে। আমরা চাই যারাই তাকে হত্যা করুক, আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত থাকে বা দলীয় কোন্দলে যদি হত্যা করা হয়ে থাকে, অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।

আমরা এই ধরনের হত্যাকাণ্ড চাই না। আনারের মত জনপ্রিয় নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা হবে, তার লাশটা এখনো আমরা পাচ্ছি না এটা অনেক দুঃখজনক, বেদনা দায়ক। এই হত্যার সঙ্গে যারাই থাকুন আমরা চাচ্ছি সকারের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করে আইনের আওতাই এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করুক। তার লাশটা এখনও পাচ্ছেন না কেন। এতোদিন লাগবে কেন। দ্রুত তার লাশটি কালীগঞ্জের মাটিতে চাই।

আইয়ুব হোসেন বলেন, এই আনার ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের জানাজার নামাজ পড়েছে। এমনওদিন গেছে ৫ থেকে ৬টি জানাজার নামাজের শরিক হয়েছেন। যদি সে সত্যিকার অর্থেই মারা গিয়ে থাকে তাহলে তার লাশটা কালীগঞ্জের মাটিতে দেখতে চাই এবং আমরা তার জানাজার নামাজ পড়তে চাই।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। ১৬ মে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।

বুধবার (২২ মে) তাকে হত্যা করা হয়েছে খবর শোনার পর পুরো কালীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে চলছে শোকের মাতম। আনারের জন্ম ৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ সালে, পেশায় ব্যবসায়ী। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসন থেকে তিনি তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে ২০১৪ ও ১৮ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। একজন ক্রীড়া সংগঠক এবং একসময়ের জনপ্রিয় ফুটবল খেলোয়াড় হিসাবেও তিনি এলাকায় পরিচিত ছিলেন।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তার মৃত্যুর সংবাদ শোনা পর থেকেই দলীয় নেতা কর্মীরা এমপির দলীয় কার্যলয়ের ও তার বাসভনের সামনে এসে জড়ো হতে থাকে। মৃত্যুর ২য় দিনেও একই চিত্র দেখা গেছে। নেতাকর্মীরে সবার মধ্যে হতাশা এবং বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সবাই জানতে চাইছে কেন আনার খুন হলো। ভারতে গিয়ে হত্যা কেউ মেনে নিতে পারছে না। নেতাকর্মীসহ সবার মাঝে দ্বিধা ও হতাশা বিরাজ করছে।

জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাংগাঠনিক সম্পাদক আনিচুর রহমান মিঠা মালিতা বলেন, গত ১২ মে কানের চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। সেখানে তাকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। গণমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছি ৬ জন কিলার এমপির হত্যার সাথে জড়িত। এই হত্যার মাস্পার মাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহিন পাশ্ববর্তী উপজেলা কোটচাঁদপুর উপজেলার। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন এই হত্যার মাস্টার মাইন্ড শাহিনকে আক্তারুজ্জামান শাহিনকে অচিরেই দেশে ফিরিয়ে এনে দেশে প্রচলিত তাকে শাস্তির আওয়াই আনা হোক। সেই সাথে এমপির আনারের লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক।

কালীগঞ্জ পৌর সভার মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, আপনারা সবাই অবগত আছেন, আমরাও রাষ্ট্রের মাধ্যমে অবগত হয়েছে এমপি আনার খুন হয়েছে। আমরা ধরেই নিয়েছি তিনি খুন হয়েছে। এখন আমরা হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অপেক্ষা করছি তার ডেটবডিটা আমাদের কালীগঞ্জ মানুষের মাঝে ফিরিয়ে দিবেন। তবে কিভাবে তিনি খুন হেয়েছে সেটা গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করছে, তাদের তদন্ত শেষ হলেই বোঝা যাবে তিনি কিভাবে কি কারণে খুন হয়েছেন।

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু বলেন, জনপ্রিয় এমপি ছিলেন আনার। তার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এই কত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করবেন সেই অপেক্ষায় আছি। তবে রাজনৈতিক ভাবে আনারের কারো সাথে কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। প্রকাশ্যে কারো সাথে দ্বন্দ্বে জড়াতে দেখিনি। তবে কে বা কারা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সেটা তদন্তের মাধ্যমেই উদঘাটন হবে।