প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলে খেলা বন্ধ করেন। উনি ততো ভালো খেলোয়ার নন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার পরিবারের সদস্যদের কলঙ্ক আছে। আপনি পদত্যাগ করে তাকে খেলতে দেন। প্রকাশ্যে যদি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে পারে, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’
সম্প্রতি গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতাকে ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় জানাজায় অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘এটা কী মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? দেশি-বিদেশি সবাই দেখেছেন।’
৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এদিন পুলিশের কারা ডিউটি করছেন, আমরা দুই-চারজন চিনলেও তাদের তালিকা পুলিশের কাছে আছে।’
বাধার পরও দশ বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল হয়েছে জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা সরকারকে সঠিক তথ্য দেয় না। যে তথ্য দিলে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) খুশি হবেন, সেই তথ্য দেয়। গোয়েন্দা সংস্থা সঠিক তথ্য দেবে আপনার পদত্যাগের পর যে সরকার আসবে সেই সরকারের কাছে। কাকে দিয়ে গুম করিয়েছেন, খুন করিয়েছেন তারা তখন হবে রাজসাক্ষী।’
গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা নেই, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ শূন্য। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বলছেন টাকা আছে। টাকা আছে আপনার ও আপনার আত্মীয় স্বজনের কাছে। এই টাকা ফেরত দিলে এক বছর নয়, পাঁচ বছরের বাজেট হবে। বিদেশ থেকে ঋণ আনতে হবে না।’