ঢাকা৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কোটা আন্দোলন: দৃষ্টিশক্তি হারানোর শঙ্কায় অর্ধশত

জনবার্তা প্রতিবেদন
জুলাই ২৬, ২০২৪ ৪:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিকের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, মেট্রোরেলসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ। মৃত্যু ও সম্পদহানির পাশাপাশি আহত হয়েছে অসংখ্য আন্দোলনকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এদের মধ্যে অন্তত ৬০০ জন মানুষ চোখে কাঁদানে গ্যাস (টিয়ার শেল) ও ছররা গুলির আঘাতের কারণে চিকিৎসা নিয়েছেন। এতে দৃষ্টিশক্তি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন অর্ধশত রোগী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বর্তমানে দুই হাসপাতালে প্রায় ৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। তবে তারা ফলোআপ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসছেন। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ৫০৪ নম্বর ওয়ার্ডে বি-২৬ নম্বর শয্যায় ক্যানুলা হাতে শুয়ে আছে আট থেকে ১০ বছর বয়সী ইমরান। তার বাঁ চোখের পাপড়ি, কান, মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন। এসব ছররা গুলির আঘাতের চিহ্ন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

শিশুটির মা পান্না বেগম জানান, পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার এলাকার গলির মুখে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল ইমরান। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলছিল। হঠাৎ ছররা গুলি ইমরানের চোখে-মুখে লাগে। আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ঢাকা মেডিকেলে একদিন চিকিৎসা শেষে তাকে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি। ইমরানের মতো আরও অনেক শিশু ও ব্যক্তি টিয়ারগ্যাস ও ছররা গুলিতে চোখে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ছয় দিনে বিশেষায়িত এ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৪২৪ জনের বেশি রোগী। এদের মধ্যে ৩১৮ জন ভর্তি হয়। অস্ত্রোপচার করা হয় ২৭৮ জনের। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।

রোগীর চাপের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রোগীদের চাপ বেশি থাকায় ১১টি অস্ত্রোপচার কক্ষ (ওটি) একসঙ্গে চালু করেও সামাল দেওয়া যাচ্ছিল না। এখন জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ কমেছে। এখন যারা আসছে তারা দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার চিকিৎসার জন্য আসছে। কতজন চোখের দৃষ্টি ফিরে পাবে এখনই বলা যাচ্ছে না। অনেকের আরও দুই থেকে তিনটি চোখের সার্জারি করলে বোঝা যাবে। তবে অনেকের চোখের দৃষ্টি না ফেরার আশঙ্কা রয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক আল মাহমুদ লেমন বলেন, গত কয়েকদিনে সহিংসতার ঘটনায় চোখে আঘাতপ্রাপ্ত দুই শতাধিক রোগী জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ভর্তি করা হয় ৪৮ জনকে। ৩২ জনের অস্ত্রোপচার করা হয়, যার মধ্যে তিনজনের দুই চোখের অপারেশন করা হয়েছে। দুজনের দুটি চোখই একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। সাত থেকে আটজনের একটি করে চোখ নষ্ট হয়েছে। তাদের দৃষ্টি ফেরার সম্ভাবনা নেই। বাকি যাদের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, এদের একাধিক অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কয়জনের চোখের দৃষ্টি ফিরে পাবে এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।