ঢাকা১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায় : সংসদে চুন্নু

জনবার্তা প্রতিবেদন
মে ৫, ২০২৪ ১০:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। এ সময় তিনি বিদ্যুতের দায় মুক্তি চুক্তি প্রত্যাহারের দাবি জানান। রবিবার (৫ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে দেয়া বক্তব্যে মুজিবুল হক চুন্নু এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিদ্যুৎ , এই মৌসুমে গ্রামেগঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা, আমার এলাকায় ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আমি জানি না সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেলো কোথায়। এ সরকারি দলের সদস্যদের কেউ কেউ আপত্তি করলে চুন্ন বলেন, প্লিজ, লোডশেডিং হয় না গ্রামে? চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার এলাকার মানুষ আমাকে বলেছে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে আমার এলাকায় একটা দিন থাকার জন্য, লোডশেডিং হয় কি না দেখার জন্য।

আমার প্রশ্ন আরেক জায়গায়, যে সমস্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আছে ভাড়া তাদের ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকা সত্বেও বসে আছে। এবং ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থাকার কারণে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। আমি আরো বলতে চাই ওই যে দায় মুক্তি দিয়ে যে সমস্ত চুক্তি আমরা করেছি, এই দায়মুক্তি চুক্তিটা দয়া করে প্রত্যাহার করে এই যে বসে বসে জরিমানা দেয়া হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে এই চুক্তি বাতিল করেন।

বাতিল করে বিদ্যুৎ দিলে, যেমন আমাদেরকে বিদ্যুৎ দিলে আমরা বিল দেই ঠিক ওই সমস্ত কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে তাহলে বিল দেবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপরেও আবার লোডশেডিং থাকবে। এই যে অসহনীয় অবস্থা এই দেশে ঢাকা শহর থেকে কেউ আপনারা বুঝবেন না। যারা সংসদ সদস্য সরকারি দলের তারা হয় তো বলতে পারেন না কি অবস্থা গ্রামগঞ্জের।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করে ওই প্রতিযোগিতামূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবসা যারা করে, যারা বিদ্যুতের প্লান্ট বসান, অপচয় বন্ধ করেন। এই যে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন, আইএমএফ এর কারণে গত চার বছরে যদি ভর্তুকী, মন্ত্রী একটা সুন্দর কথা বলেন যে সমন্বয়, সমন্বয়ের নামে দাম বাড়ান এটা বলতে লজ্জা হয়, বলেন যে সমন্বয়। এ সমন্বয় এক বছর করেছেন আগামী তিন বছর বার বার করবেন। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলবো শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নেন যে পদক্ষেপের মাধ্যমে জনগণের উপর চাপ না এসে একটা সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেরও থাকতে পারেন। আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, গত ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১৫ জন মারা গেছে ঈদের আগে ও পরে। প্রতিদিন এখন ১৪ জন মারা যায়, বছরে ৫ হাজারের মতো লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় এটা সরকারের সংস্থার হিসাব। তিনি বলেন, সড়কে বেশীর ভাগ কিন্তু দুর্ঘটনা হয় বেশীরভাগ পুরোনো গাড়ী, ফিটনেন্স নাই, ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী আপনি একটু শক্ত হলে, আপনি একটু শক্ত হন, ওই পুরোনো গাড়ী, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেন্সবিহীন গাড়ী, অটোমটো যদি রাস্তায় চলাচল না করে তাহলে এইভাবে মানুষগুলো মারা যাবে না। দয়া করে আপনি এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেন। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান চুন্নু।