কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় ফরিদ উদ্দিন (ভিপি ফরিদ) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার দাঁত ভেঙে গেছে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে কিশোরগঞ্জ শহরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সোহরাব উদ্দিন জানান, ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক একরাম হোসেনকে নিয়ে ফরিদ উদ্দিন রোববার সন্ধ্যায় পাকুন্দিয়া সদরে যান। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরমিন আহমেদের নেতৃত্বে সাবেক আহ্বায়ক এখলাছ উদ্দিনসহ ২০-২৫ জন তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় ঘুষিতে ফরিদের সামনের একটি দাঁত ভেঙে যায়।
তিনি আরও জানান, কিশোরগঞ্জে ভালো চিকিৎসা না হলে তাকে ঢাকা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় আগামীকাল মঙ্গলবার মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আরমিন আহমেদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
জানা গেছে, গত বছর ৫ অক্টোবর জেলা ছাত্রলীগ ১৯ সদস্যের পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে। আরমিন এ কমিটির সভাপতি হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নাজমুল আলমকে সভাপতি করে তাঁকে সহ-সভাপতি করায় দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতিকে বিদায় জানান। পরে কমিটি বাতিলে ঝাড়ু মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন আরমিনের অনুসারীরা।
এদিকে পাকুন্দিয়া থানার ওসি সারোয়ার জাহান জানান, হাতাহাতি হয়েছে বলে জেনেছি। তবে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।