ঠাকুরগাঁওয়ে ছেলে চুরি করেছে—এই অভিযোগে তার মাকে নির্যাতনের ১৪ ঘণ্টা পর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২২ মে) সকালে পরিষদপাড়ার লিচুবাগানের গাছ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দায়ন ঋষি পরিষদপাড়ার বিশু ঋষির স্ত্রী।
নিহতের স্বজনেরা জানান, দায়নের একমাত্র ছেলে রাজন ঋষিকে ৩ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে মারধর ও নির্যাতন করে একই পাড়ার আমজাদ নামের এক ব্যক্তি। নির্যাতন সইতে না পেরে রাজন জানায়, চুরি করা টাকা তার মায়ের কাছে রয়েছে। তখন আমজাদের লোকজন দায়ন ও তার স্বামী বিশুকে বেধড়ক পেটায়। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় মা দায়ন ও ছেলে রাজন ঋষিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানা থেকে ফেরার পথে ছেলেকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে মা দায়ন ঋষিকে নিয়ে যায় আমজাদের লোকেরা। সারা রাত দায়ন আর ফেরেননি। পরদিন সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির পার্শ্ববর্তী লিচুবাগান থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত দায়নের মরদেহ নিয়ে তার গোত্রের লোকেরা ঠাকুরগাঁও থানার সামনে বিচারের দাবিতে অবস্থান নেন। তারা এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ সময় তারা থানা থেকে নির্যাতকদের হাতে দায়নকে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদ জানান।
ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর দোলন কুমার মজুমদার বলেন, ‘থানায় মামলা না দিয়ে আমজাদ ও তার লোকজন রাজন ঋষি, তার বাবা বিশু ও মা দায়ন ঋষিকে মারধর করে এবং ধরে নিয়ে যায়। তাদের চুরির জন্য আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম।’
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার জানান, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের যথাযথ আইনের আওতায় আনা হবে।