ছোলা, মুড়ি, চটপটি, স্যান্ডউইচ এবং অ্যালোভেরার শরবত ও সালাদে মিলেছে ডায়রিয়ার জীবাণু। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অর্থায়নে করা এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। আজ রোববার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক সেমিনারে গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় ।
গবেষণা প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য, পুষ্টি ও কৃষি গবেষণা ল্যাবরেটরির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক লতিফুল বারি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।
লতিফুল বারি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছোলা মুড়ির ৭৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব নমুনার মধ্যে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া (ডায়রিয়ার জন্য দায়ী) সর্বোচ্চ মাত্রায় পাওয়া গেছে ৭ দশমিক ২৮ এবং সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৮১ গ্রাম। এর নির্ধারিত মাত্রা হচ্ছে দুই গ্রাম। চটপটির নমুনা পরীক্ষায় কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার সর্বোচ্চ মাত্রা পাওয়া গেছে ৭ গ্রাম এবং সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৩ গ্রাম। স্যান্ডউইচে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে ৫ দশমিক ৫১ সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৮১ গ্রাম।
লতিফুল বারি জানান, আখের রসের গ্লাসে এই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে ২ দশমিক ৮৮ গ্রাম এবং মগে ১ দশমিক ৬৮ গ্রাম। অ্যালোভেরার জুসের গ্লাসে দুই দশমিক ৩২ এবং মগে ৩.০২ মিলিগ্রাম।
গবেষণা প্রতিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়াসহ অন্যরা।