ঢাকা৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেশবাসীকে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের

জনবার্তা প্রতিবেদন
জুলাই ১৬, ২০২৪ ৭:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারা দেশের মানুষকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে ‘ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু মিয়ার শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে’ এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শিক্ষার্থীরা যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা সময়োচিত ও যৌক্তিক। এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা যে আহ্বান জানিয়েছেন, আমি মনে করি সারা দেশের মানুষের সেই আহ্বানে সাড়া দেয়া উচিত। সব রাজনৈতিক দলেরও তাদের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত।

তিনি বলেন, আজকে দেশের অবস্থা ভয়াবহ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, এখানে মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার নেই, এমনকি কথা বলার কোনো অধিকার নেই। এখন কঠিন সময় আমরা অতিক্রম করছি। এই সময়ে যদি আমরা রুখে দাঁড়াতে না পারি তাহলে পুরো দেশ ও জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এদেশের মানুষ ওরা জেগে উঠছে। আমি বিশ্বাস করি যে, জনগণ তাদের অধিকার আদায় করে নেবে।

যে কথাটা মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সকল নেতারা বলেছেন যে, আর সময় দেয়া যাবে না। সকলকে উঠে দাঁড়াতে হবে, রুখে দাঁড়াতে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমাদের অধিকার আমাদের আদায় করে নিতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বরাবরই বলছি, আওয়ামী লীগ আর সেই আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ এখন একটা দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে আমলাদের ওপরে এবং তাদের তথাকথিত বাহিনীর উপরে যারা আজকে রাষ্ট্রকে পুরোপুরিভাবে একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে আমার ধারণা বই পড়েৃ বিভিন্নভাবে কিন্তু কোনো ধারণা ছিলো না। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপরে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা, আমার মনে হয়েছে যে, আমি ফ্যাসিবাদ দেখেছি। আমি আমার চোখের সামনে দেখেছি যে, যখনই কোনো কিছু দমন করতে হলে বিরোধী দলকে, বিরোধী মতকে, এমনকি ছাত্রদের দাবিগুলোকে তখন এভাবে তাদের দলের লোকজনকে দিয়ে, তাদের বিভিন্ন সন্ত্রাসীদেরকে দিয়ে তাদেরকে লেলিয়ে দেয়া এবং পুরোপুরিভাবে স্তব্ধ করে দেয়া , এটা হচ্ছে সত্যিকার অর্থেই ফ্যাসিবাদ।

তিনি আরও বলেন, আজকে সেই অবস্থা থেকে দেশকে বের করে আনতে হবে। আজকে ৫৩ বছর হয়ে গেছে স্বাধীনতার, এই স্বাধীনতার এতোদিন পরে আমাদেরকে যখন আমাদের অধিকার নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে, সংগ্রাম করতে হচ্ছে। যে কোটার কথা ছেলেরা বলছে, এই কোটা তো উনি প্রধানমন্ত্রীই বাতিল করে দিয়েছিলেন। আবার সেটাকেই আদালত দিয়ে সামনে নিয়ে এসে ইস্যু বানিয়ে সেটা ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। দুর্ভাগ্য আমাদের দেশের আদালতকে ব্যবহার করা হচ্ছে তাদের শাসনকে স্থায়ী করার মধ্য দিয়ে, এই কথা আমরা বহুবার বলেছি। সেজন্য আমাদেরকে বিভিন্নভাবে কথা বলা হয়েছে।

ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে, এটা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে জঘন্যতম ঘটনা। আমরা আগে কখনো দেখিনি হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা আহতদের আক্রমণ করবে, এটা আমরা কখনো চিন্তাও করতে পারি না, এমনকি পাকিস্তান আমলেও। তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, পাকিস্তান আমলে হানাদার বাহিনীর কথা নাকি ছেলেরা ভুলে গেছে। আপনি তো ভুলে যেতে সাহায্য করছেন না। বরং আপনারা নতুন করে মনে করে দিচ্ছেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যে আক্রমণ ছিলো সেটা থেকে আপনারা কোন অংশ কম করেছেন। আমরা যখন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ি তখন ছিলো এনএসএফ আইয়ুব খানের দলের ছাত্র সংগঠন। তারা এভাবে আমাদের আক্রমণ করতো, আমাদের সভা ভঙ্গ করতো, অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের সমস্ত আন্দোলনকে দমন করতে শক্তি প্রয়োগ করতো। আজকে আপনারা সেই পাকিস্তানিদের মতো একইভাবে সাধারণ ছাত্রদের ন্যায় সঙ্গত দাবি যে যৌক্তিক দাবি, সেই দাবির আন্দোলনকে নসাৎ করে দেয়ার জন্য আজকে তাদের ওপরে অস্ত্র-সস্ত্র হাতে নিয়ে আপনাদের সেই বাহিনীকে আপনারা লেলিয়ে দিয়েছেন। এভাবে ভয়াবহ নির্যাতন করে তাদেরকে দমানোর চেষ্টা করছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেল, একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন মূল যে দাবি জনগণের যে একটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চাই, গণতন্ত্রকে ফেরত চাই, ভোটের অধিকার ফেরত চাই- এই দাবিগুলো পাশ কাটানোর জন্য তারাই (সরকার) একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে তারা জনগণের যে দৃষ্টি শক্তিকে বিভ্রান্ত করতে চায়। আমাদের জনগণের মূল যে সমস্যা সেই সমস্যাটা হচ্ছে, আমরা সুষ্ঠু জবাবদিহিমূলক সরকার চাই, ব্যবস্থা চাই যে ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে, যারা ক্ষমতায় থাকবেন তারা জবাবদিহি থাকবে, এই বিষয়গুলো ব্যবস্থা থাকবে সেখানে জনগণ তার কথা বলতে পারবে।

ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, নুর মোহাম্মদ খান ও ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।