ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে নয়ন মিয়া (১৮) নামে ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরের মোল্লা বাড়ির সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ নয়ন উপজেলার চরশিবপুর এলাকার রহমত উল্লাহর ছেলে। তিনি উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
উপজেলা বিএনপি ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশ হবে। গণসমাবেশ কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা সদর এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করে। প্রচারপত্র বিতরণ শেষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি সায়েদুজ্জামান কামালের নেতৃত্বে উপজেলা সদরের মোল্লা বাড়ি থেকে মিছিল বের করে। মিছিল থেকে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের বাজার, বাঞ্ছারামপুর থানা ও উপজেলা পরিষদ এলাকা অতিক্রম শেষে পুনরায় মোল্লা বাড়ির মসজিদের সামনে গিয়ে জড়ো হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. হৃদয় আমাদের সময়কে বলেন, ‘নিহত ছাত্রদল নেতার মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।’
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির দুই কর্মী রফিকুল ইসলাম (৪২) ও সাইদুর রহমান (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেলের সময় পুলিশের ৬ সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম (৪১), পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্দি দে (৩২), উপ-পরিদর্শক আফজাল হোসেন (৩০), বিকিরণ চাকমা (৩২), কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম (৩৩) ও বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস (২৬)।’