ঢাকা১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি ৩রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র-হুমকি বরদাশত করা হবে না: ১২ দলের হুঁশিয়ারি

জনবার্তা প্রতিবেদন
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪ ৩:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সম্প্রতি প্রদত্ত হুমকির প্রতিবাদে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তারা কোনো ষড়যন্ত্র ও হুমকি বরদাশত করবেন না। নেতারা দাবি করেছেন, রাজনাথ সিংকে ক্ষমা চাইতে হবে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা। সমাবেশ শেষে নেতারা প্রেসক্লাব চত্বরে একটি সংক্ষিপ্ত মিছিলও বের করেন।

নেতারা বলেন, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান—কেউই ভারতকে বিশ্বাস করে না। ভারতীয় নেতাদের অবিবেচক ও নেতিবাচক আচরণে সবাই অতিষ্ঠ। বাংলাদেশের জনগণ ভারতীয় নেতাদের আচরণে ক্ষুব্ধ। তারা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভারতের আগ্রাসী মনোভাব এবং কর্তৃত্বশীল আচরণ মেনে নেবে না।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক।

বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি শওকত আমীন, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি মাস্টার এম এ মান্নান।

সভাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু।

প্রধান অতিথি মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিহার করে নতুন শক্তি নিয়ে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে, যা প্রশংসনীয়। ভারতের কাছ থেকে অবন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ মেনে নেওয়া যাবে না। ভারতের পুতুল শেখ হাসিনা সরকারের কারণে বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও জনগণ ভারতীয় আগ্রাসন নিয়ে ক্ষুব্ধ। ভারতীয় আগ্রাসী মনোভাবের কারণে বাংলাদেশ ভারতকে একটি বৈরী রাষ্ট্র মনে করছে। ভারত বাংলাদেশের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন জানিয়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে, এটাই উচিত।

জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তবুও শেখ হাসিনার বিচার কেন হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বলেন, আপনার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ বড় হৃদয়ের, তবে বাংলাদেশ নিয়ে তাচ্ছিল্য মেনে নেওয়া হবে না।

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের জনগণ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অনুগতদের রাজনীতি থেকে বের করে দিতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফার রূপরেখার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে।

শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য সহ্য করা হবে না। সরকারের প্রতি আহ্বান, অবিলম্বে ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ব্যাখ্যা নেওয়া হোক। শেখ হাসিনার সরকারের দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।