ঢাকা১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি ৩রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বারবার গুনাহ করেও বান্দা যে কারণে ক্ষমা পায়

জনবার্তা প্রতিবেদন
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪ ৪:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মানুষ গুনাহপ্রবণ। জেনে না-জেনে সে গুনাহে জড়িয়ে পড়ে। কারণ শয়তান ও নফস সার্বক্ষণিক তাকে গুনাহে প্ররোচিত করে। গুনাহের পথ থেকে সরে আসার জন্য বান্দা তাওবা করে, কিন্তু আবারও আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়। গুনাহ হয়ে গেলে স্বভাবতই মুমিনরা অনুতাপে ভোগেন, পরবর্তী করণীয় ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। এই দুশ্চিন্তা থেকে কেউ পাপাচারেই অটল থাকেন এই ভেবে যে, আল্লাহ তাআলা হয়ত আর মাফ করবেন না। এই অনুভূতি আদৌ কাম্য নয়।

কারণ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, قُلۡ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ ‘(হে রাসুল আপনি) বলুন, হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছো- (তোমরা) আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না; আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ (সুরা জুমার: ৫৩)

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলেতে শুনেছি, ‘কোনো বান্দা পাপে লিপ্ত হলো, অতঃপর বলে, হে আমার রব, আমি পাপে লিপ্ত হয়েছি, আমাকে ক্ষমা করুন। তার রব বলেন, আমার বান্দা কি জানে তার রব রয়েছেন, যিনি পাপ ক্ষমা করেন ও তার জন্য পাকড়াও করেন? আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম। অতঃপর আল্লাহ যে পরিমাণ চান সে বিরত থাকে।

অতঃপর পাপে লিপ্ত হয়, অতঃপর বলে, হে আমার রব! আমি দ্বিতীয় পাপে লিপ্ত হয়েছি, আপনি তা ক্ষমা করুন। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা কি জানে তার রব রয়েছেন, যিনি পাপ ক্ষমা করেন ও তার জন্য পাকড়াও করেন? আমার বান্দাকে আমি ক্ষমা করে দিলাম। অতঃপর আল্লাহ যে পরিমাণ চান সে বিরত থাকে। অতঃপর কোনো পাপে লিপ্ত হয়।

তিনি বলেন, সে বলে—হে আমার রব, আমি পাপে লিপ্ত হয়েছি আবারও, আপনি আমার জন্য তা ক্ষমা করুন। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা কি জানে তার রব রয়েছেন, যিনি পাপ ক্ষমা করেন ও তার জন্য পাকড়াও করেন? আমি আমার বান্দাকে তিনবারই ক্ষমা করে দিলাম, সে যা চায় আমল করুক।’ (সহিহ বুখারি: ৭৫০৭)

আলোচ্য হাদিসের শিক্ষা হলো, মুমিন আল্লাহর দয়া ও ক্ষমা লাভের ব্যাপারে কখনো নিরাশ হবে না। অসংখ্য অগণিত ভুল হওয়ার পরও সে আল্লাহর দরবারে ফিরে আসবে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করবে।

ভালো বান্দার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘(ভালো বান্দা হচ্ছে তারা) যারা যখন কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেলে কিংবা নিজেদের ওপর নিজেরা জুলুম করে ফেলে, (সঙ্গে সঙ্গেই) তারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং গুনাহের জন্যে (আল্লাহর কাছে) ক্ষমা প্রার্থনা করে। কেননা আল্লাহ ছাড়া আর কে আছে যে গুনাহ মাফ করে দিতে পারে? (তদুপরি) এরা জেনে বুঝে নিজেদের গুনাহের ওপর কখনও অটল হয়ে বসে থাকে না। এই মানুষগুলোর প্রতিদান হবে, আল্লাহ তাআলা তাদের ক্ষমা করে দেবেন। আর (তাদের) এমন এক জান্নাত (দেবেন) যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা বইতে থাকবে, সেখানে (নেককার) লোকেরা অনন্তকাল অবস্থান করবে। সৎকর্মশীল ব্যক্তিদের জন্যে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) কত সুন্দর প্রতিদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’ (সুরা আল ইমরান: ১৩৫-১৩৬)

মূলত আল্লাহ তাআলা বান্দাকে ক্ষমা করতেই ভালোবাসেন। তাই বান্দার উচিত কোনো পাপ সংঘটিত হয়ে গেলে দেরি না করে দ্রুত তাওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসা এবং গুনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা। আল্লাহ তাআলা সবাইকে যথাযথ তাওবা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।