আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন দিনের আলোতে অমাবস্যা দেখে, পূর্ণিমার রাতেও অমাবস্যা দেখে। তারা দেশের উন্নয়ন দেখে না। তারা বলে শুধু জনতার ঢল, অথচ তাদের সিলেটে জনতার ঢেউ নেই, সেখানে আছে সুরমার ঢেউ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি বলে আমাদের নিরাপদে প্রস্থান নিতে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে। কোন মুখে তারা এমন কথা বলে? তারা তো আন্দোলন করতেই জানে না। তারা মুখে দেশনেত্রী বলে ফেনা তোলে অথচ নেত্রীর জন্য একটি মিছিলও করতে পারে না।’ আজ শনিবার বিকেলে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ী মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির এখন বড় জ্বালা পদ্মা সেতু হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেলও হয়ে গেল, মেট্রোরেলও হয়ে গেল।’
তিনি বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৩ বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর। এখন খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। তাই খেলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ডিসেম্বর বিজয়ের মাস, তারা যদি মাঠে নামে তাহলে রাজপথে খেলা হবে। তারা শেখ হাসিনাকেও সম্মান করতে জানে না। শেখ হাসিনাকে হাসিনা বলে ডাকে অথচ শেখ হাসিনা দয়া করে তাদের নেত্রীকে দণ্ডিত হওয়া সত্ত্বেও বাড়িতে থাকতে দিয়েছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশগুলোতে খানপিনা ভালোই হচ্ছে। কাঁথা, বালিশ, হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে সাত দিন আগে থেকেই সমাবেশস্থলে চলে যাচ্ছে। তারা গরুর মাংস খাচ্ছে, মুরগির মাংস খাচ্ছে। এরপরেও বিএনপির আন্দোলন রঙিন খোয়াবেই থাকবে। তারা এখন বিদেশিদের কাছে নালিশ করে নালিশ পার্টি হিসেবে পরিচিত হয়েছে। বিএনপি জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত।’
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডলের সঞ্চালনায় সম্মেলেনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, রুমানা আলী টুসি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিন সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে নেতৃত্ব বাছাই করা হয়। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আজমত উল্লাহ খান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আতাউল্লাহ মন্ডলের নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। এর আগে ২০১৫ সালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।