মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেব না। আমাদের নেতাকর্মীদেরও কর্তব্য আছে। ১০ ডিসেম্বর কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালালে আমাদের নেতাকর্মীরা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করবে। সরকার সারা দেশে তাদের সমাবেশে নিরাপত্তা দিয়েছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও দেবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে আলোচনাকালে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়েছিল, বরাদ্দও হয়েছে। কিন্তু তারা এখন রাস্তায় চেয়ে বেড়াচ্ছে। যে ময়দান থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন, যে ময়দানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিল, যেখানে তারাও অতীতে অনেক জনসভা করেছে। আমরা তো নিয়মিতভাবেই করি। সেখানে তাদের যেতে এতো অস্বীকৃতি, অনীহা কেন? তারা শুধু রাস্তায় জনসভা করতে চায়। গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করতে চায়, জনজীবনে বিপত্তি ঘটাতে চায়।’
ড. হাছান বলেন, ‘সাংবাদিকরা এবং শহরের সাধারণ নাগরিকরা রাস্তায় জনসভার বিরুদ্ধে। কারণ এতে মানুষের ভোগান্তি হয়। সমাবেশের জন্য মাঠের বিকল্প হিসেবে বিএনপি আরেকটা মাঠের কথা বলতে পারে। সোহরাওয়ার্দীতে না চাইলে তারা বাণিজ্য মেলার মাঠ বা আরও বড় বিশ্ব ইজতেমার মাঠ যেখানে ২০ লাখ মানুষ ধরে। না হলে কামরাঙ্গীর চরের মাঠেও যেতে পারে। তারা সেটা বলে না, বলে এই রাস্তা, না হয় ওই রাস্তা।’
তথ্যমন্ত্র বলেন, ‘মতিঝিলের রাস্তা, যেখানে অনেক ব্যাংক, বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, সেটি কেন তাদের এত পছন্দ? এটির পেছনেও গভীর ষড়যন্ত্র, দুরভিসন্ধি আছে। প্রকৃতপক্ষে তারা কোনো জনসভা করতে চায় না, এটিকে ইস্যু বানাতে চায়। দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টায় তারা আছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘টেলিভিশনে যারা বড় গলায় কথা বলছে, তাদের হাতে মানুষের রক্ত এবং আগুন। নির্দেশ দিয়েছে, পরিচালনা করেছে এবং অর্থ দিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।’
বিএনপি নেতারা ঘনঘন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এমন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘এ দেশের মালিক জনগণ। এ দেশে কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না, সেটা জনগণ নির্ধারণ করবে। এখানে কূটনীতিকদের বেশি কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপি ক্ষণে ক্ষণে কূটনীতিকদের কাছে ছুটে যায়। তাদের কোলে করে কেউ ক্ষমতায় বসাবে না। এ দেশে কূটনীতিকরা কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষমতা রাখে না।’