ব্যাংকিং খাতে গুজব নিয়ে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশনের অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেছেন, ‘এই গুজব প্রচারকারীরা আমাদের গ্রাহকদের, সমাজের এবং দেশের ক্ষতি করছে।’
রবিবার (২০ নভেম্বর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমরা সম্প্রতি দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য নিয়ে অনেক গুজব লক্ষ্য করছি- বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বলা হচ্ছে, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তারল্য নেই। গ্রাহকদের নগদ টাকা তুলতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বরাত দিয়ে এসব নেতিবাচক খরব দেশ-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশে আমাদের প্রবাসীদের মধ্যেও এই গুজবটি ছড়ানো হচ্ছে, যাতে তারা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুৎসাহিত হন। এগুলো খুবই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, ‘আমরা অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি)’র পক্ষ থেকে বলতে চাই, এসব তথাকথিত তথ্যের কোনও ভিত্তি নেই এবং এগুলো অসত্য। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ আছে। আমরা সম্মানিত গ্রাহকদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে ব্যাংকগুলোতে তাদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। আমরা গ্রাহকদের অনুরোধ করবো, এই গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য।’
বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে তারল্যের কোন ঘাটতি নেই, বাংলাদেশ ব্যাংকও এই বিষয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উপরন্তু ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকাও বেশি অতিরিক্ত তারল্য আছে। গত ৫০ বছরে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন ব্যাংককে ব্যর্থ হতে দিয়েছে এমন কোনও নজির নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক তো বলেই দিয়েছে, কোনও ব্যাংকের কোনও অসুবিধে হলে তারা এগিয়ে আসবে। অতীতেও আমরা দেখেছি ব্যাংকিং খাতে কোনও সংকট হলে বাংলাদেশ ব্যাংক এগিয়ে এসেছে।’
‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ও দিকনির্দেশনায় ব্যাংকিং খাত যখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে এবং সরকারের প্রণোদনার উপর ভর করে অর্থনীতি যখন মহামারী থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে, তখন এ ধরনের অপপ্রচার চালানো দুঃখজনক’, মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকনির্দেশনায় ও গ্রাহকদের আস্থায় ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে এবং রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’সোমবার দুপুর পৌনে ১টায় রাজধানীর গুলশানের বাসভবনে তার মৃত্যু হয়। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। জানা গেছে, গোলাম রাব্বানী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি গোলাম রাব্বানীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
গোলাম রাব্বানী ১৯৯২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০১ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারক হন।