ঢাকা১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মন খারাপ হলে যে দোয়া পড়তেন নবীজি

জনবার্তা প্রতিবেদন
সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪ ৩:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মানুষের মন সবসময় ভালো থাকে না। আর্থিক দুরবস্থা, বিপদ-মসিবত, আত্মীয় স্বজনের অসুস্থতা ও ঘনিষ্ঠ কারো প্রতারণা ইত্যাদি কারণে মন বিষণ্ণ হয়। এমনসব অবস্থায় ইসলামের শিক্ষা হলো- ভেঙে পড়া যাবে না। কারণ পৃথিবীটাই আসলে সুখের জায়গা নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে কষ্টনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা বালাদ: ৪)

তাই যেকোনো কারণে মন খারাপ হলে প্রথম দায়িত্ব হবে- ভেঙে না পড়ে সবর করা। এছাড়াও দোয়া পাঠ করার শিক্ষা রয়েছে হাদিসে। চিন্তা ও পেরেশানির সময় একটি বিশেষ দোয়া পড়তেন নবীজি (স.)। দোয়াটি হলো—

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمِّ وَالحَزَنِ، وَالعَجزِ وَالكَسَلِ، وَالبُخلِ وَالجُبنِ، وَضَلَعِ الدَّينِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি ওয়া কাহরির রিজাল।’ অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে। আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (স.) চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় এই দোয়া পড়তেন। (বুখারি: ২৮৯৩)

এ বিষয়ে আরেকটি দোয়ার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। যা চিন্তা ও পেরেশানির সময় নবীজি পড়তেন। দোয়াটি হলো— لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ الْعَظِیْمُ الْحَلِیْمُ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِیْمُ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْکَرِیْمُ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আযীমুল হালীম,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রব্বুল আরশিল আযীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রব্বুল আরদ্বি ওয়া রব্বুল আরশিল কারীম। অর্থ: ওই আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই যিনি মহান এবং সহনশীল, ওই আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই যিনি আরশে আলীমের মালিক, ওই আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই যিনি আসমান, জমিন এবং মহা আরশের মালিক। (মুসলিম: ২০৯২)

এ সম্পর্কিত আরেকটি সুন্দর দোয়া হলো— اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ ، وَابْنُ عَبْدِكَ ، وَابْنُ أَمَتِكَ ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ ، أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ ، أَوْ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي ، وَنُورَ صَدْرِي ، وَجِلاءَ حُزْنِي ، وَذَهَابَ هَمِّي ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আব্দুকা অবনু আব্দিকা অবনু আমাতিকা, না-সিয়াতী বিয়য়াদিকা, মা-দ্বিন ফিইয়্যা হুকমুকা, আদলুন ফিইয়্যা ক্বাদ্বা-উকা, আসআলুকা বিকুল্লিস্মিন হুয়া লাকা সাম্মাইতা বিহী নাফসাকা আউ আনযালতাহূ ফী কিতাবিকা, আউ আল্লামতাহূ আহাদাম মিন খালক্বিকা, আও ইস্তা’সারতা বিহী ফী ইলমিল গাইবি ইন্দাক; আন তাজআলাল ক্বুরআনা রাবীআ ক্বালবী অনূরা সাদরী অজিলাআ হুযনী অযাহাবা হাম্মী।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দা। আপনার বান্দা ও বান্দীর সন্তান। আমার নসীব আপনার হাতে। আমার উপর আপনার নির্দেশ কার্যকর, আমার প্রতি আপনার ফয়সালা ইনসাফের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমি সেই সমস্ত নামের প্রত্যেকটির বদৌলতে আপনার কাছে কাতর প্রার্থনা জানাই— যে নামগুলো আপনি নিজের জন্য নির্ধারণ করেছেন অথবা নিজ কিতাবে নাজিল করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টিজীবের মধ্যে কাউকে শিখিয়ে দিয়েছেন অথবা স্বীয় ইলমের ভাণ্ডারে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন— কোরআনকে আমার হৃদয়ের প্রশান্তি বানিয়ে দিন, আমার বক্ষের জ্যোতি বানিয়ে দিন, আমার দুশ্চিন্তাগুলোর অপসারণকারী বানিয়ে দিন এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বিদূরণকারী বানিয়ে দিন।’

এই দোয়া সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যদি কেউ কখনো দুশ্চিন্তা বা বেদনায় আক্রান্ত হয়ে এ দোয়াটি পড়ে, তাহলে আল্লাহ তার দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন, বেদনা অপসারণ করে দিবেন। এর বদলে প্রশান্তি আনয়ন করে দিবেন। জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমরা কি দোয়াটি শিখে নিব না? তিনি বললেন: অবশ্যই। যে ব্যক্তি দোয়াটি শুনেছে তার উচিত এটি শিখে নেয়া। ( মুসনাদে আহমদ: ৩৫২৮; সহিহ তারগিব: ১৮২২)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে চিন্তা ও পেরেশানির সময় উপরোক্ত দোয়াগুলো পড়ার তাওফিক দান করুন এবং এসব দোয়ার বদৌলতে তিনি তাঁর বান্দার বেদনার্ত মন ভালো করে দিন। আমিন।