ঢাকা১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাশিয়া ইউক্রেনে লক্ষ্য অর্জন করবে: পুতিন

জনবার্তা প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৬, ২০২২ ১০:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধরত সৈন্যদের মায়েদের একটি দলকে বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে তার সামরিক অভিযানের লক্ষ্য অর্জন করবে।

শুক্রবার টেলিভিশনে প্রচারিত মস্কোর কাছে তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সময় পুতিন বলেন, “আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে এবং আমরা শেষ পর্যন্ত সেই লক্ষ্য অর্জন করব।”

তিনি ইউক্রেনে মস্কোর কৌশলকে তথ্য মাধ্যমে ‘অবমূল্যায়ন, (এবং) আপস’ হিসেবে প্রচার করাকে শত্রুদের প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করে এর নিন্দা জানান।

এদিকে ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জ়েলেনস্কা বলেছেন, ‘অনেক কিছু সহ্য করেছে এ দেশ, আরও অনেক সহ্য করে নেবে।’

একটি ব্রিটিশ দৈনিককে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। ওলেনার কথায়, ‘এ যুদ্ধে জয় ছাড়া শান্তি আসবে না।’

বারবার রণকৌশল বদলেছে রাশিয়া। এবার তাদের অস্ত্র শীত। পারদ শূন্যের নীচে। বরফ পড়া শুরু হয়ে গেছে গত সপ্তাহে। এই প্রবল হিমশীতল ঠান্ডায় ইউক্রেনজুড়ে জমাট বেঁধেছে ঘন অন্ধকার। পাওয়ার গ্রিড লক্ষ্য করে একের পর এক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হানায় বিদ্যুৎহীন দেশের বহু অঞ্চল। বিদ্যুতের অভাবে বাড়িগুলোর ঘর গরম রাখার ব্যবস্থা কাজ করছে না। একাধিক কম্বলেও এ ঠান্ডা মানে না। জল জমে বরফ, পানীয় জলের আকাল দেখা দিয়েছে। রুশ রকেট নয়, এবার হয়তো ঠান্ডাতেই আরও কত শত বাসিন্দার মৃত্যু হবে।

ফার্স্ট লেডি বলেন, “শীত পড়তে শুরু করেছে। এই প্রবল ঠান্ডা… রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ব্ল্যাক আউট… ইউক্রেন সব সহ্য করে নেবে। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। এ যুদ্ধে জয় ছাড়া শান্তি আসবে না।”

রাজধানীতে এক সরকারি ভবনে, বালির বস্তা দিয়ে ঘেরা আঁটোসাটো নিরাপত্তা বেস্টনিতে ওলেনার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ব্রিটিশ দৈনিকটির সাংবাদিক। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিল, স্ত্রী-সন্তানদের দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। সর্বসমক্ষে সে অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন তিনি। এই সাক্ষাৎকারও কিভে বসে দিয়েছেন ওলেনা।

তিনি বলেন, “কত ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি আমরা। কত প্রাণহানি দেখেছি, কত ধ্বংস, এই বিদ্যুৎহীন অন্ধকার পরিস্থিতিকে কখনওই সবচেয়ে কঠিন বলা যায় না।”

ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন ওলেনাও। স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে অনড়। ওলেনা বলেন, “সম্প্রতি একটি গণভোট হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকলে মানুষ আরও দু’তিন বছর এই বিদ্যুৎ সংকট সহ্য করে নিতে রাজি।”

ফার্স্ট লেডির ব্যাখ্যা, হয়তো একটা দীর্ঘ কঠিন রাস্তা, তবু তার শেষটা জানা থাকলে শান্তি। ওলেনা বলেন, “কত কিলোমিটার দৌড়াতে হবে যদি জানা থাকে, তখন ম্যারাথনও সহজ লাগে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয়রা জানেন না, ঠিক কতটা রাস্তা তাদের দৌড়াতে হবে। তবু দৌড়ে যেতে হবে। থামলে চলবে না। মাঝে মাঝে যা অসহনীয়।”

ওলেনা বলেন, “আমি বাচ্চাদের নিয়ে প্রায় আলাদাই রয়েছি। উনি কাজ নিয়ে ব্যস্ত। ছোট ছোট বিষয়— ঘড়ি দেখার দরকার নেই, কোনও তাড়া নেই, যতক্ষণ মন চায়, এক সঙ্গে বসে গল্প করা, সেসব আর হয় না।”

প্রেসিডেন্ট-পত্নী জানান, এ শুধু তাদের গল্প নয়, ইউক্রেনীয়দের জীবনই বদলে দিয়েছে এই যুদ্ধ। পরিস্থিতির চাপে রণক্ষেত্রে লড়ছেন ইঞ্জিনিয়ার থেকে ব্যালেরিনা। ৮০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ, মূলত নারী ও শিশু দেশছাড়া। তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যেরা দেশে রয়ে গেছেন, দেশের হয়ে লড়ছেন।