বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হোসেনসহ বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের দু’জন এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগের আরো দুইজন কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেবেন বলে জানা গেছে। এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
২০১৬ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ ডলার চুরি হয়। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সেই টাকা রক্ষিত ছিল। সেখান থেকে টাকা চুরি করে ফিলিপাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এসব ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়।
আজমালুল হোসেন বিবিসিকে বলেন, ‘এখানে ফিলরেম মানি কর্পোরেশন নামে একটা মুদ্রা বিনিময় প্রতিষ্ঠান ছিল যারা আমাদের চুরির টাকা পেসোতে কনভার্ট করে এবং বিভিন্ন জায়গায় দেয়। ক্যাসিনোতে দিয়েছে। সেই ফিলরেমের দুইজন শেয়ারহোল্ডার, তারা স্বামী-স্ত্রী, আমাদের অনুরোধে তাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা করেছে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানিলন্ডারিং কাউন্সিল। সেই মামলায় এখন সাক্ষ্য গ্রহণ করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হ্যাকিং করে যে কোটি কোটি ডলার ফিলিপাইনে পাঠানো হয়েছিল, সে বিষয়েই বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণ তুলে ধরেছে।
আজমালুল হোসেন বলেন, ‘হ্যাকিংয়ের এভিডেন্স ওখান থেকে আসছে। হ্যাকিংয়ের ভিকটিম তো আমরা। টাকাটা হ্যাকিংয়ের পরে এখানে এসেছে, এখানকার খবর ওদের জানা আছে। আমাদের ওখানে হ্যাকিংয়ের পুরো তথ্যটা ওদের কাছে নেই। সেটাই তাদের দেয়া হচ্ছে। এখন প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য চলছে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের ব্যাঙ্ক আরসিবিসি একটি মামলা করেছিল, সেটা বহু আগেই খারিজ হয়ে গেছে।