ঢাকা১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শুনেছি আমাকে দেখামাত্রই গুলি করার হুকুম ছিল: সজল

জনবার্তা প্রতিবেদন
আগস্ট ১৩, ২০২৪ ২:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক হয়েছিল গোটা দেশ। বিনোদন অঙ্গনও ছিল সেই মিছিলে। ছাত্র-ছাত্রীদের হয়ে সামাজিক মাধ্যমে ও রাজপথে গলা চড়িয়েছিলেন সজল।

তবে ফলাফল সুখকর ছিল না। শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের গানে শামিল হওয়ায় সজলের বাসায় হামলা, ভাঙচুর করা হয়েছে। দেখামাত্র গুলি করা হবে বলে শাসানোও হয়েছিল। সংবাদয়ামধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী সজল।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথে থাকায় পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে উল্লেখ করে সজল বলেন, ‘আমি পালিয়ে ছিলাম ১৫ দিন। বিজয়ের দিন ফিরে আসছি। এখনও ট্রমায় আছি। পালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছিলাম। এরপর আমি আর কোথায়ও আন্দোলনে অংশ নিতে পারিনি। কারণ, শুনেছি আমাকে দেখামাত্রই গুলি করার হুকুম ছিল, এটা আমি জানতে পারি, আমার পুরো এলাকায় এটা বলাবলি হয়েছে। আমি আমার এলাকায় অনেক ফোকাসড ছিলাম। আমার বাসায় যখন পুলিশ হামলা করেছে, তারা বন্দুক উঁচিয়ে ভাঙচুর করার সময় বলছিল, সজলকে দেখামাত্র গুলি করা হবে। আমার অপরাধ, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে, রাজপথে থাকা মানুষ।’

আন্দোলন চলাকালীন নানা ধরণের চাপ সইতে হয়েছে সজল ও তার পরিবারকে। তার কথায়, ‘আমার এলাকা আরজতপাড়া ইউনিটের আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পক্ষ থেকে আমার বাসায় সুনির্দিষ্টভাবে ব্লক রেইড দেওয়া হয়। বাসার কয় তলায় কোন ইউনিটে থাকি, সব চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। তারা পুলিশকে পরে গালাগালিও করে বলে জানতে পারি, একটা বাচ্চাও ধরতে পারে নাই, এ কেমন পুলিশ! অথচ আমার কোনো দলীয় পরিচয় নেই। আমার হাতে লাঠিসোঁটাও ছিল না। আমি কোনো ভাঙচুরেও ছিলাম না। কিন্তু আমরা আন্দোলনে ছিলাম। আমরা যে আন্দোলন করেছি, আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে এখন যে স্থিতিশীল পরিস্থিতির আহ্বান জানানো হচ্ছে, এই স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার। যেখানে আমরা কোনো প্রতিঘাতেও অংশ নিইনি, আমরা কিন্তু প্রতিবাদে আছি।’

সজলের মতোই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনকে। তাকে অ্যাসিড মারার ভয় দেখানো হয়েছিল। একই কারণে অভিনেতা খায়রুল বাশারকেও দেওয়া হয়েছিল হুমকি।