ঢাকা৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৬শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শুল্ক বসেনি এমপিদের গাড়ি আমদানিতে, বাজেটে আরও যেসব প্রস্তাব পাস হয়নি

জনবার্তা প্রতিবেদন
জুলাই ১, ২০২৪ ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সদ্যসমাপ্ত জুনের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদে প্রস্তাব হয় দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী— সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবও ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার এই বাজেটে।

কিন্তু সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা বাতিল করাসহ কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেই রোববার (৩০ জুন) বিকেলে সংসদে কণ্ঠ ভোটে পাস হয় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটটি। ফলে আজ সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে নতুন এই বাজেট।

‘টেঁকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা’— শিরোনামে প্রায় আট লাখ কোটি টাকার বাজেটটি উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। চলতি অর্থবছরের এই বাজেটে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ জিডিপি এবং প্রায় ৬ শতাংশ বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে।

তবে রোববার পাসের আগে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বড় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি বাজেটে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— বাড়তি রাজস্ব আদায়ে বাজেটে ধনীদের ওপর করহার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেননি তিনি। অর্থাৎ পাস হয়নি সেই প্রস্তাবটিও।

এদিকে বাজেটে প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ আয়কর ৩০ শতাংশ থেকে নামিয়ে আগের মতোই ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ বাৎসরিক আয় ৩৮ লাখ টাকার বেশি— এমন ব্যক্তিদের ২৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে।

তবে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়নি। ফলে সাড়ে ৩ লাখ টাকার বেশি বাৎসরিক আয় থাকলেই নতুন বাজেটে ব্যক্তিকে ৫ থেকে ২৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

তথ্য বলছে— জাতীয় সংসদের সদস্যরা কোনো শুল্ককর ছাড়াই গাড়ি আমদানি করতে পারেন। ৩৬ বছর ধরে এই সুবিধা পেয়ে আসছেন তারা। ফলে এই খাতে বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় সরকার।

সেই হিসাবই কষেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাব করেছিলেন সংসদ সদস্যের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা বাতিল করার। কিন্তু শেষমেশ প্রস্তাবটি পাস হয়নি। ফলে সংসদ সদস্যরা আগের মতোই শুল্কমুক্ত সুবিধায় দেশে গাড়ি আমদানি করার সুযোগ পাচ্ছেন।

অপরদিকে সদ্যসমাপ্ত জুনে প্রস্তাবিত বাজেটে সবচেয়ে সমালোচিত একটি বিষয় কালো টাকা সাদা করার সুযোগ। সর্বমহলে সমালোচিত এই বিষয়টিকে রেখেই পাস হয়েছে চলতি অর্থবছরের বাজেট। ফলে একজন করদাতা ১৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে; তার অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করতে পারবেন। আবার ফ্ল্যাট-প্লট কিনেও অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ থাকছে নতুন অর্থবছরে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তীব্র সমালোচিত আরেকটি বিষয় মোবাইলে বাড়তি কর বসানোর প্রস্তাব। বিভিন্ন মহলে সমালোচনার পরও সেটি কমানো হয়নি চূড়ান্ত বাজেটে।

ছয় জুনের প্রস্তাবিত বাজেটে শহর-গ্রাম নির্বিশেষে দেশের যেকোনো স্থানে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করলে; আয়কর বিবরণী জমা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। তবে ব্যাপক সমালোচনায় অর্থ বিল পাসের সময় কিছুটা সংশোধনী আনা হয়েছে এই প্রস্তাবে। ফলে এখন থেকে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করতে গেলে আয়কর বিবরণী জমার স্লিপ দিতে হবে।