ঢাকা১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সব মামলা প্রত্যাহার চান এ্যানি, কাদেরকে খুঁজছেন সোহেল

জনবার্তা প্রতিবেদন
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪ ৫:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরে যত মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যাদের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে সবগুলো প্রত্যাহার করতে হবে।

অন্যদিকে বিএনপির আরেক যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল শেখ হাসিনার সমালোচনা করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় জানতে চেয়ে বলেছেন, ‘আজকে কাকু (ওবায়দুল কাদের) কোথায়? তিনি নাকি পালাবেন না! কিন্তু তাকে তো টোকাইয়া পাই না।’

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপ্টেনে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে নেতারা এই কথা বলেন।

এ্যানি বলেন, যে লড়াইয়ে আমরা অবতীর্ণ হয়েছিলাম সেই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। আপনার কাছে আহ্বান- যারা গত ১৫ বছরে গুম খুন ও লুটপাটে জড়িত ছিল তাদের বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যাদের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে সবগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের জন্য বিশেষ অনুদানের ব্যবস্থা করতে হবে। লুটপাট ও পাচার হওয়া টাকা অবিলম্বে ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, আমরা শেখ হাসিনাকে বহুবার বলেছি কেয়ারটেকার সরকার দেন। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বহুবার বলেছেন। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনেননি। তিনি দাদাদের কথা শুনলেন। আমাদের কথা শুনলে এভাবে পালিয়ে যেতে হতো না। এখন বলে তিনি নাকি চট করে ঢুকে যাবেন? আসেন না! বিএনপির নেতাকর্মীরা গত ১৫/১৬ বছরে পুরনো জুতা একটাও ফেলে দেয়নি। সবগুলো উপহার দিতে চাই।

তিনি বলেন, দলের সব নেতাকর্মীকে ফেলে পালালেন। যেন চাচা আপন প্রাণ বাঁচা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলি, যে দলের নেতা সবাইকে ছেড়ে পালিয়েছে তার দল করিয়েন না। যারা তাকে আশ্রয় দিয়েছে তাদের বলি যে, হাসিনা খুনি। তিনি অসংখ্য শিশুসহ মানুষ খুন করেছেন। শাপলা চত্বরে গণহত্যা চালিয়েছে। পিলখানায় ৫৭ জন চৌকস সামরিক বাহিনীর অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। এই সিরিয়াল কিলার শেখ হাসিনাকে যারা আশ্রয় দিয়েছেন বিভিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছেন। কান পেতে শোনেন, ঢাকা শান্তিতে না থাকলে দিল্লি শান্তিতে থাকতে পারবে না। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ একেকজন সৈনিক। অতএব হুমকি দিয়ে কাজ হবে না।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন।

এসময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও বিএনপি ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।