ঢাকা১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সমকামিতাকে অপরাধ ঘোষণা করে ইরাকে নতুন আইন পাস

জনবার্তা প্রতিবেদন
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ১:২৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সমকামী সম্পর্ককে অপরাধ ঘোষণা করে বিল পাস করেছে ইরাকের পার্লামেন্ট। নতুন এই আইনে সমকামী সম্পর্কে জড়ালে ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এমনকি ট্রান্সজেন্ডারদেরও এক থেকে তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

নতুন এই আইনের সমর্থকেরা বলছে, তারা দেশটিতে ধর্মীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবে।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, এটি এলজিবিটি মানুষদের বিরুদ্ধে ইরাকের সহিংসতার রেকর্ডে আরও একটি কালো দাগ।

যারা সমকামিতা বা যৌনবৃত্তিকে উৎসাহিত করে, যেসব চিকিৎসক লিঙ্গ পরিবর্তন সার্জারি করেন, যেসব পুরুষ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ নারীদের মতো আচরণ করেন এবং যারা ‘স্ত্রী অদলবদলে’ জড়িত, নতুন আইনে তাদেরও কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।

এই আইনের আগের খসড়ায় সমকামী সম্পর্কের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রস্তাব করা হয়েছিল। ১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে পাস হওয়া যৌনবৃত্তিবিরোধী আইনের সংশোধনী হিসেবে এই খসড়া প্রস্তুত করা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের বিরোধিতার মুখে আইনটি সংশোধন করা হয়।

গতকাল শনিবার ইরাকের সংবাদমাধ্যম শাফাক নিউজকে সাংসদ আমির আল-মামৌরি বলেন, নতুন আইনটি ইসলামি ও সামাজিক মূল্যবোধের বিপরীতে যৌন বিকৃতি মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। চলতি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগ পর্যন্ত বিলটি পাস স্থগিত করা ছিল বলে জানিয়েছেন আইনপ্রণেতা রায়েদ আল-মালিকি। তিনিই এই আইনের সংশোধনী উত্থাপন করেছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে আল-মালিকি বলেন, ‘আমরা এ সফর বিঘ্নিত করতে চাইনি। এটি সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয় আর আমরা ইরাকের বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ মেনে নেব না।’

এলজিবিটিদের দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্যবস্তু করে আসছে ইরাকের কর্তৃপক্ষ। এর আগে তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য অন্যান্য নৈতিকতা আইন ব্যবহার করা হয়েছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাও অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং হত্যার বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরাকের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এলজিবিটি অধিকারের সমালোচনায় সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এমনকি নানা বিক্ষোভ সমাবেশে পোড়ানো হয়েছে রংধনু পতাকা।

আইন সংস্কার পাস মানবাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলে, ‘আইনটি ইরাকের অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষমতাকেও দুর্বল করে দেবে। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক জোট ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে যে ইরাকে এ ধরনের বৈষম্য দেশের ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’

এদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ডেভিড ক্যামেরন এই সংশোধনীকে ‘বিপজ্জনক ও উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। এক্স প্ল্যাটফরমে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘কারো পরিচয়ের জন্য তাদের লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। আমরা ইরাক সরকারকে কোনো বৈষম্য ছাড়াই সব মানুষের মানবাধিকার ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে উৎসাহিত করছি।’