ঢাকা১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুন্দরবনে আগুনে পুড়েছে ৫ একর বনভূমি : প্রধান বন সংরক্ষক

জনবার্তা প্রতিবেদন
মে ৬, ২০২৪ ২:২৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেছেন, সুন্দরবনের আমুরবুনিয়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫ একর বনভূমির গাছপালা ও লতাগুল্ম পুড়ে গেছে। সেখানে বলা নামের গাছ ছাড়া বড় কোনো গাছ নেই। মৃত কোনো বন্যপ্রাণীও দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, আগুনে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি নিরূপণে সোমবার খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো-কে প্রধান করে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।

প্রধান বন সংরক্ষক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল ঘুরে এসে রোববার রাত ১০টায় খুলনায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

আমীর হোসাইন বলেন, বিকালে বনের মাটির উপরে আর আগুন দেখা যায়নি। তবে বনভূমিতে পড়ে থাকা পাতার নিচে আগুন আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বনের ওই এলাকার মাটিতে পাতার ৭ বা ৮ ইঞ্চির স্তর রয়েছে। বনভূমি উঁচু হয়ে যাওয়ায় সেখানে জোয়ারের সময় পানি ওঠে না। এ অবস্থায় বন বিভাগের ধানসাগর ও জিওধরা স্টেশনের ২০ জন কর্মী সারারাত ৫ একর বনভূমিতে পানি দেওয়ার কাজ করছেন। যা সোমবারও অব্যাহত থাকবে। আগুন যেন আর না ছড়ায় সেজন্য ফায়ার লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে ড্রোন দিয়ে মনিটরিং করা হবে। কোথাও ধোঁয়া দেখা গেলে সেখানে পানি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের আমুরবুনিয়াসহ আশপাশের এলাকায় ২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৫ বার অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সর্বশেষ ২০২১ সালে আগুন লেগেছিল। ওই সময়ের তুলনায় এবারের আগুনের ব্যাপ্তি কম।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, অনেক সময় দেখা যায় বনজীবীদের বিড়ি-সিগারেটের উচ্ছিষ্ট অংশ থেকে আগুন লাগে। কখনও জেলেরা ওই এলাকায় বর্ষাকালে মাছ ধরার জন্য আগুন লাগিয়ে দেয়। কখনও মৌয়ালদের মশালের অংশ থেকে আগুন লাগে। তবে এবার কীভাবে আগুন লেগেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস এবং বন বিভাগ আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করবে। এ ঘটনায় সোমবার থানায় জিডি করা হবে। তারাও কারণ খতিয়ে দেখবে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার দুপুর ৩টায় আমরা বনে আগুন লাগার খবর পাই। এরপর বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, বিমান বাহিনী পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। রোববারও তা অব্যাহত ছিল। বন বিভাগের কর্মীরা ২টি পাম্প ও ২ হাজার ৪০০ মিটার পাইপ দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করে। সেই সঙ্গে অন্যান্য সংস্থাগুলোও কাজ করছে। আরও ২ থেকে ৩ দিন বনের ওই এলাকাগুলোতে বন বিভাগের কর্মীরা পানি দেবে।

আমীর হোসাইন আরও বলেন, এই এলাকায় ভবিষ্যতে যাতে আর আগুন না লাগে সেজন্য ভরাট হয়ে যাওয়া ভোলা নদী ও দুটি খাল আগামী বছর খনন করা হবে। তাহলে ওই এলাকাগুলোতে জোয়ারের পানি উঠতে পারবে। এছাড়া বন বিভাগের অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রী বৃদ্ধি করা হবে। সেই সঙ্গে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন প্রমুখ।