পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার পর হারুন বলেন, ‘বর্তমান সংসদ মহাজোটের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সংসদকে অবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’
মহাজোটের শরীকদের পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে হারুন বলেন, ‘সরকার ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। বিএনপি ও তার জোট আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে দেশে কোনো অর্থবহ নির্বাচন হবেনা।’
সরকারের নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বার্তা দিয়েছে এ পদত্যাগ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন বিএনপির ছয়জন সংসদ সদস্য। সেদিন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দিলেও এমপি হারুন বিদেশে থাকায় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার।
সেসময় স্পিকার বলেছিলেন, এমপি হারুনুর রশিদ বিদেশে থাকায় অনুপস্থিত রয়েছেন এবং এর মধ্যে আব্দুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় সংসদ সচিবালয় তাঁর সই মিলিয়ে দেখবে ও কথা বলবে। সব ঠিক থাকলে তাঁর আবেদনও গৃহীত হবে। তবে, ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগ পত্র দেওয়ায় হারুনুর রশীদের আবেদন গ্রহণ হবে না। তাঁকে পরে এসে জমা দিতে হবে। এরই প্রেক্ষিতে আজ সশরীরে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিলেন এমপি হারুন।
গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে ই-মেইল যোগে স্পিকারের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছিলেন বিএনপির সাত এমপি। তারা হলেন—আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), হারুনুর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)।
এরপর ১১ ডিসেম্বর দুপুরে শূন্য ঘোষিত ওই ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটির সদস্য সশরীরে গিয়ে স্পিকারের কাছে ছয়জনের পদত্যাগপত্র জমা দেন।