ঢাকা২৪শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি ১০ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা, ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া

জনবার্তা প্রতিবেদন
জুন ১৫, ২০২৪ ৩:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ পবিত্র হজ পালিত হচ্ছে আজ শনিবার (১৫ জুন)। হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে সৌদি আরবের মক্কার অদূরে আরাফাতের প্রান্তরে সমবেত হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম। সেখানে মসজিদে নামিরায় হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন হজের ইমাম। এছাড়া নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৫ জুন) বিকেল সোয়া তিনটার দিকে খুতবা শুরু হয়। চলে প্রায় আধাঘণ্টা। এবার হজের খুতবা দেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব ড. শেখ মাহের বিন হামাদ। বাংলাসহ প্রায় ৫০টি ভাষায় এটি অনুবাদ করে শোনানো হয়।

হজের খুতবায় তিনি বলেন, হে মানুষ, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ)-এর আনুগত্য করো, কোরআনে বলা হয়েছে যে অন্যায় করবে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন।

তিনি বলেন, ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য এবং বিধান শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। আর যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে সে এমন জায়গা থেকে রিজিক পাবে যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর মালিক। তিনি আমাদের জন্য রহমত হিসেবে কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। কোরআন এমন একটি গ্রন্থ যার প্রতিটি আয়াত প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ। এই কোরআন মানুষকে সরল পথ দেখায়।

খুতবায় তিনি বলেন, তাকওয়া মানুষকে সফলতা ও মুক্তি দেয়, তাকওয়া অবলম্বনকারীরা কিয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবে। সে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। যে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে তাকে প্রতিদান দেবেন।

তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা হজরত মুহাম্মদ সা.-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। যারা নবীজি সা.-কে সম্মান করবে, ঈমান আনবে এবং আল্লাহ হেদায়েত স্বরূপ যে কোরআন নাজিল করেছেন তার বিধান মেনে চলবে তারাই সফল।

হজের খুতবায় তিনি ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য রহমত কামনা করে দোয়া করেন।

এর আগে সকালে মিয়া থেকে লাখ লাখ হাজি লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে আরাফাতের উদ্দেশে যাত্রা করেন। মিনা থেকে আরাফাত প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ছেয়ে যায় ইহরামের শুভ্রতায়। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ বাসে করে আবার কেউ কেউ ট্রেনে যান আরাফাতের ময়দানে। এক সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের যাত্রার ফলে প্রচণ্ড ভিড় লাগে আরাফাতের রাস্তায়।

খুতবার পর মসজিদে নামিরায় সমবেত মুসলমানরা এক আজান এবং দুই ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে জামাতে আদায় করবেন। কারোর অবস্থান দূরে থাকলে তিনি নিজের তাঁবুতে আলাদাভাবে আদায় করবেন জোহর এবং আসরের নামাজ।

সূর্য অস্ত যাওয়ার কিছু সময় পর হজযাত্রীরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই আরাফাত ময়দান থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দেবেন। মুজদালিফায় গিয়ে এশার নামাজের সময় একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায়ের পর সেখানেই খোলা আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ খোলা মাঠে রাত যাপন করবেন। এর আগে প্রতীকী শয়তানের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপের জন্য তারা সেখান থেকে পাথর সংগ্রহ করবেন। এর পরের দিন হজযাত্রীরা ফজরের নামাজ আদায়ের পর সূর্যোদয়ের আগে কিছু সময় অবশ্যই মুজদালিফায় অবস্থান করবেন। এরপর তারা যাবেন মিনায়।

মিনার জামারায় (শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর ছোঁড়ার স্থান) বড় শয়তানের উদ্দেশ্যে প্রতীকী সাতটি পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি এবং রাসুলুল্লাহর (সা.) আদর্শ অনুসরণে পুরুষরা মাথা মুণ্ডনের পর গোসল করবেন। নারীরা চুলের অগ্রভাগ থেকে প্রায় এক ইঞ্চি পরিমাণ চুল কাটবেন। এরপর হাজিরা সেলাইবিহীন ইহরাম খুলবেন। এরপর হাজিরা মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে সুবেহ সাদিকের পর থেকে কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। কাবা শরিফের সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাতবার ‘সাই’ (দৌড়ানো) করবেন। সেখান থেকে তারা আবার ফিরে যাবেন মিনায়, নিজেদের তাঁবুতে।

হজযাত্রীরা ১১ জিলহজ আবার জামারায় গিয়ে জোহরের নামাজের পর থেকে পর্যায়ক্রমে ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে সাতটি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। একইভাবে ১২ জিলহজ আবারও ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপের পর সন্ধ্যার আগে তারা মিনা ত্যাগ করবেন। ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময়ে কাবা শরিফকে ফরজ তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।