ঢাকা১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৪শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১০ জনের যাবজ্জীবন

জনবার্তা প্রতিবেদন
জুন ২৬, ২০২৪ ৩:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মাতব্বর হাজী নুরুল হককে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই উদ্দেশ্যে খুন করার অপরাধে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একইসঙ্গে আসামি মো. নান্নু মিয়াসহ অপর ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছোট ধুশিয়া গ্রামের মৃত আ. আজিজের ছেলে মো. মাছুম (৩৫), মৃত আ. লতিফের ছেলে তাজুল ইসলাম (৩২), আবদুল কাশেমের ছেলে মো. মোস্তফা (২৪), ডা. মনু মিয়ার ছেলে মো. কাইয়ুম (২৫), আবদুল ছাত্তারের ছেলে মো. কাইয়ুম (২৮), মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. তবদুল হোসেন (৪০)।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছোট ধুশিয়া গ্রামের মৃত ওয়াব আলীর ছেলে মো. নান্নু মিয়া (৪০), মৃত আলী মিয়ার ছেলে আ. মতিন মিয়া (৪০), মৃত আ. খালেক সাইদুল ইসলাম (২৪), সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে বাবুল মিয়া (২৫), মৃত আ. লতিফের ছেলে সফিকুল ইসলাম (৩৫), মৃত নায়েব আলীর ছেলে মো. মোসলেম মিয়া (৪৫), নান্নু মিয়ার ছেলে মো. সফিকুল ইসলাম (২৮), মৃত আ. বাতেনের ছেলে মো. হেলাল মিয়া (২৫), সরু মিয়ার ছেলে মো. আউয়াল মিয়া (৩০) ও মৃত আ. মতিন মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩০)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, স্থানীয় ফরিদ মিয়ার সহিত আসামি মাছুম মিয়ার বসত বাড়ির জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলা অবস্থায় এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিসে আসামি মো. মাছুম মিয়ার বিরুদ্ধে রায় প্রদান করেন ভুক্তভোগী হাজী নুরুল হক। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী মো. নুরুল হক কুমিল্লা থেকে বাড়িতে যাওয়া পথে ছোট ধুশিয়া তবদুল মিয়া বসত ঘরের দক্ষিণ পাশে রাস্তার উপর আসামাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগীর ওপর হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করিলে নুরুল হক ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ছেলে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছোট ধুশিয়া গ্রামের মো. শরীফুল ইসলাম (২৪) বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আ. আজিজ এর ছেলে আসামি মো. মাছুম মিয়াসহ ২২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ইকতার মিয়া তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদেরকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন।

পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইকতার মিয়া ও এএসপি ইৎতুত মিস ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. মাছুম মিয়াসহ ২০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি সকল আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. মাছুম মিয়াসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড; সেই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং আসামি মো. নান্নু মিয়াসহ অপর ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড; সেই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। এছাড়াও আসামি মো. মনিরুল ইসলাম ও হিরণ মিয়ার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং আসামি মো. ফুল মিয়া ও মো. সেলিম রায়ের পূর্বে মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে মামলার দায় হইতে অব্যাহতি প্রদান করেন।

রায় ঘোষণাকালে আসামি মো. কাইয়ুম, মো. তবদুল হোসেন, নান্নু মিয়া, মতিন মিয়া, বাবুল মিয়া, সফিকুল ইসলাম, মোসলেম মিয়া, সফিকুল ইসলাম, মো. হেলাল মিয়া ও মো. আ. আউয়াল আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী এপিপি এডভোকেট মো. জাকির হোসেন বলেন আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।

আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আবদুল মমিন ফেরদৌস।