ঢাকা২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হিজাব নিয়ে কটূক্তি, রাবি শিক্ষক হাফিজুরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

জনবার্তা প্রতিবেদন
মার্চ ১২, ২০২৪ ১:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানকে শ্রেণীকক্ষে নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব-নিকাব নিয়ে কটূক্তি ও খুলতে বাধ্য করায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টায় সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধনে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনর সভাপতি মেহেদী সজিব এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে একজন নাগরিক আরেকজন নাগরিকের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তার সেই অধিকার নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশ বিদেশে উজ্জ্বল করেছেন, সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। কিন্তু হাফিজুর রহমানের মতো শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়কে লাঞ্ছিত, অপমানিত করেছেন। তিনি ক্লাসে জোরপূর্বক মেয়েদের হিজাব খুলিয়েছেন। এটি যৌন নিপীড়ন, যৌন অত্যাচার। আমি বলবো, এমন শিক্ষক আরও যারা আছেন, সাবধান হয়ে যান। এমন শিক্ষক আমরা আর দেখতে চাই না। আমরা আগামী দুই দিনে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। শিক্ষককে এই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।

নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুস সানিহা বলেন, আমি একজন ভুক্তভোগী। আমি ক্লাসে সবসময় হিজাব পড়ে আসি। আমার ভাবতে খারাপ লাগে। আমার শিক্ষক এই সম্মানিত পোশাককে হেয় করেছেন। একই সাথে তিনি সংবিধানকে অবজ্ঞা করেছেন। সংবিধানে আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘন করেছেন। আমি তার শাস্তি দাবি করছি।

মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি ব্যক্তিই স্বাধীন। কেউ হিজাব না পড়তে চাইলে এটা যেমন তার স্বাধীনতা কেউ পড়তে চাইলে এটাও তার স্বাধীনতা ও অধিকার। আমরা প্রত্যাশা করি প্রতিটি শিক্ষক নৈতিকভাবে শিক্ষিত হবেন। শিক্ষক সুবল আচরণ করবেন। হাফিজুর রহমানের মেয়ে সংক্রান্ত যেসব কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে তা নিন্দার দাবিদার।

উল্লেখ্য, গতকাল ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্লাসে হিজার-নিকাব খুলতে বাধ্য করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা। এরই প্রেক্ষিতে আজ স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন মানববন্ধনের আয়োজন করে। সেখানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ও মানবাধিকার কর্মী উপস্থিত ছিলেন।