ড. মোমেনের আরও বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিয়ে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে কথা বলি। যখনই কোনো বড় দেশের বড় লোকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, তখনই আমাদের দেশ থেকে কিছু রোহিঙ্গা নেওয়ার অনুরোধ করি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানসহ অনেক দেশকেই আমরা এ অনুরোধ করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক ব্যুরোকেও আমরা একই অনুরোধ করেছিলাম। কমপক্ষে এক লাখ রোহিঙ্গা নিতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তারা কিছু সংখ্যক নেবে বলেছে। প্রথম দফায় ৬২ জন নেবে। পর্যায়ক্রমে তারা আরও নেবে বলেছে।’
ড. মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই ৬২ জন রোহিঙ্গা নিতেছে, এটাও আমাদের জন্য বড় আনন্দের সংবাদ। আমরাও চাই রোহিঙ্গারা উন্নত জীবনযাপন করুক। তবে, একটা সমস্যাও আছে এখানে। মিয়ানমারের রাখাইনে এখনও ছয় লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্র নিচ্ছে, এটা শোনার পর মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গারাও আবার লাইন ধরে বাংলাদেশে চলে আসে কি না, এ বিষয়েও আমাদের সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।’