চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙার কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- জাহাঙ্গীর হাওলাদার এবং বরকতুল্লাহ। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ছয়জনে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ছয়টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম দুজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জাহাঙ্গীরের শরীরের ৭০ শতাংশ এবং বরকতুল্লাহর ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
জাহাঙ্গীরের বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার পূর্ব বেটকা গ্রামে। সীতাকুণ্ডের ওই শিপইয়ার্ডে তেলের ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন তিনি। আর বরকতউল্লাহর বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়। বাবার নাম আইয়ুব আলী।
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় এর আগে চারজন মারা গেছেন। তারা হলেন- জাহাঙ্গীরের ভাগিনা খায়রুল শেখ, আহমেদ উল্লাহ, আল আমিন ও হাবিব।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরী মালিকানাধীন এসএন করপোরেশনের জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১২ জন গুরুতর দগ্ধ ও আহত হন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আটজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় আনা আটজনের মধ্যে একে একে ছয়জন মারা যান। এখনো দুইজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা হলেন- আনোয়ার হোসেন ও আবুল কাশেম। এর মধ্যে আনোয়ারের ২৫ শতাংশ এবং আবুল কাশেমের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।