ঢাকা২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নদীপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মন্ত্রণালয়ের একগুচ্ছ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৩০, ২০২২ ৯:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা: দেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১০ জুলাই (রোববার) পালিত হবে মুসলমানদের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদের দু-একদিন আগে থেকেই রাজধানী ঢাকা সহ বড় বড় শহরের মানুষ ছুটি কাটাতে গ্রামে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। এর একটা বিরাট অংশ যাতায়াত করে নদীপথে, যার কারণে প্রতিবছর বাড়তি যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল, টিকিটের অতিরিক্ত ভাড়ার মত বিভিন্ন ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া যায়। এসময় লঞ্চ দুর্ঘটনাও বেশি ঘটে।

ঈদের ছুটিতে নৌপথে যাত্রীদের চলাচল নিরাপদ করতে এবং হয়রানি কমাতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এসকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দরকার হবে মাঠ প্রশাসনের সহায়তা। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দেশের জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ।

সম্প্রতি মন্ত্রী পরিষদের উপসচিব সাইফুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মন্ত্রী পরিষদের চিঠিতে বলা হয়, পবিত্র ঈদ উল আজহা ২০২২ উপলক্ষ্যে ফেরি সার্ভিস ও দেশের বিভিন্ন নৌপথে র্স্টীমার, লঞ্চসহ জলযানসমূহের সুষ্ঠুভাবে চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনসহ যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গত ১২ জুন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় গৃহীত কতিপয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে মাঠ প্রশাসনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। উল্লিখিত সভার সিদ্ধান্তের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নদীপথে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সভায় সভাপতি নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঈদের সময় হাইওয়ে পুলিশের সহায়তা নিয়ে টার্মিনালে মোটরসাইকেল প্রবেশ রোধ করতে হবে। লঞ্চের ছাদে যাত্রী উঠানো যাবেনা। নৌ পুলিশ টহল দিলে ট্রলারে যাত্রী চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদে লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো যাবে না। সভায় আলোচনা শেষে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৪৬টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এর মধ্যে রয়েছে, সদরঘাটে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আনসারসহ কমিউনিটি পুলিশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সদরঘাট থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত রাস্তা যানজটমুক্ত এবং সদরঘাট টার্মিনাল ও লঞ্চসমূহ হকারমুক্ত রাখতে হবে। সকল প্রকার যাত্রী হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া বা কম ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সকল যাত্রীবাহী নৌযানে সদরঘাটে ঈদের আগে ৫ দিন মালামাল এবং মোটরসাইকেল পরিবহণ সম্পূর্ণরুপে বন্ধ এবং ঈদের পরে ৫ দিন অন্যান্য নদী বন্দর হতে আগত নৌযানে মালামাল এবং মোটরসাইকেল পরিবহণ সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখতে হবে। আগামি ৫ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সার্বক্ষণিক সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

নৌপথে ডাকাতি, চাদাবাজি, শ্রমিক ও যাত্রীদের হয়রানি এবং ভীতিমূলক অবস্থা প্রতিরোধ করার জন্য রাতে পুলিশের টহল ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রতিটি ঘাটে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে ভিজিলেন্স টিম গঠন করতে হবে। কোন ক্রমেই লঞ্চে যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না। ঈদের পূর্বে ৩ দিন এবং পরে ৩ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাকও কার্ভাড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে। কুরবানির গরুবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য ডেডিকেটেড ফেরির ব্যবস্থা করতে হবে। ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট এবং স্পীডবোট ঘাট সমূহে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।