এর আগে আজ বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশনে দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের প্রয়োজনীয় ধারার সংশোধন প্রস্তাব পাস হয়।
এর আগে কমিটি বিলুপ্ত ষোষণা করেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ড. মশিউর রহমান ও শাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
ওবায়দুল কাদের ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার বড় রাজাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মোশাররফ হোসেন ও ফজিলাতুন্নেছার সন্তান। কাদের স্থানীয় বসুরহাট এ এইচ সি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। তার বাবা ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
নোয়াখালী কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় কাদের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলন ও ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওবায়দুল কাদের মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) কোম্পানীগঞ্জ থানা শাখার অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তিনি পাঁচ বছর কারাবন্দি ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং দুই মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে জয়লাভ করেন কাদের। বতর্মানে তিনি সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।