ঢাকা১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১লা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রশাসনে যেসব শীর্ষ পদ শূন্য হচ্ছে

জনবার্তা প্রতিবেদন
আগস্ট ২৪, ২০২২ ১০:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ শূন্য হচ্ছে। এ বছরের মধ্যেই বেশিরভাগ শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চাকরির বয়স শেষ হচ্ছে। কারও কারও চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। শূন্য হওয়া এসব পদে কে বা কারা আসছেন তা নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা থাকলেও তা নির্ভর করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সরকারের প্রশাসনের শীর্ষ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। এই দুজনেরই দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এর মধ্যে বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। তিনি ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। তার চাকরির বয়স ৫৯ বছর শেষ হলে প্রথমে এক বছর পরে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। খন্দকার আনোয়ার ১৯৮২ সালের বিসিএস বিশেষ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউসের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। বর্তমানে দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের চাকরির মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের বর্তমান বিকল্প নির্বাহী পরিচালক সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবরে।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আলী আজমের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ নভেম্বর। ইতিমধ্যেই বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়াকে। তাকে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর নতুন দায়িত্বে যোগ দেওয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগেই শেষ হচ্ছে বিডার বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের। তিনি সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ বিদায় নিচ্ছেন।

এছাড়াও চলতি বছরের ডিসেম্বর এবং আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে প্রশাসনের আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা অর্থাৎ সচিব চাকরি থেকে অবসরে যাচ্ছেন। এরা হলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন।  যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।  ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী।

এদিকে এসব পদে কাদের নিয়োগ করা হচ্ছে বা কারা পাচ্ছেন এসব পদে পদায়ন— এ বিষয়ে সচিবালয়ের সর্বত্র আলোচনা চলছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এসব পদে পদায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, পদায়ন, বদলি প্রশাসনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এছাড়া সরকারি চাকরি বিধি অনুসারে নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলে চাকরি থেকে অবসরে যাবেন এটিও একটি স্বাভাবিক নিয়ম। তবে এ বছরের মধ্যে সরকারের প্রশাসনের যেসব গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হবে সেসব পদে নিয়ম অনুসারেই পদায়ন করা হবে। যা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেবেন।

/এমআর/
বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ

আনিসুল হক (ফাইল ফটো)
‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণে রকেট সায়েন্স লাগে না’

ভ্লাদিমির পুতিন (ফাইল ছবি)
ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিনের বাজি শীতকাল?

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, আহমেদ কায়কাউস, আলী আজম ও  বেনজীর আহমেদ
প্রশাসনে যেসব শীর্ষ পদ শূন্য হচ্ছে

ডমিঙ্গোর কাছে জানতে চাইবে বিসিবি
ডমিঙ্গোর কাছে জানতে চাইবে বিসিবি

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদনের সময় বাড়লো

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৪ আগস্ট ২০২২, ১৯:৪৭

নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিতে আবেদনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলো আরও দুই মাস সময় পাচ্ছে। এর আগে তিন মাস সময় দিয়ে গত ২৬ মে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী ২৯ আগস্ট ছিল আবেদনের শেষ সময়। জানা গেছে, বুধবার গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অনুরোধে এই সময় বাড়ানো হয়। তিনি বুধবার (২৪ আগস্ট) ইসিতে গিয়ে এই অনুরোধ করেন।

ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান আবেদনের সময় বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই মাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

জানা গেছে, ইসির বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে এখন পর্যন্ত ১০টির মতো দল আবেদনপত্র তুলেছে। এদের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে দুটি দল। এদের একটি হলো বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, অন্যটির নাম বঙ্গবন্ধু দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ।

সর্বশেষ দল নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। সময় দেওয়া হয়েছিল ওই বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল ৭৬টি রাজনৈতিক দল। কেএম নূরুল হুদা কমিশন কাউকেই নিবন্ধন দেয়নি। তবে তাদের মধ্যে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস।

তার পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে ৪৩টি দল আবেদন করেছিল। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন সে সময়  বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, এই দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়।

সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০০৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো দলগুলোকে নিবন্ধন দেয়। সে সময় ১১৭টি দল আবেদন করেছিল। যাচাই- বাছাইয়ে পর নিবন্ধন পায় ৩৯টি দল। সবমিলিয়ে গত ১৪ বছরে মোট ৪৪টি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। এর মধ্যে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ও আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিলও করা হয়। ফলে বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি।

এ পর্যন্ত যে পাঁচ দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, সেগুলো হলো-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ফ্রিডম পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

/ইএইচএস/এমআর/

প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ শূন্য হচ্ছে। এ বছরের মধ্যেই বেশিরভাগ শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চাকরির বয়স শেষ হচ্ছে। কারও কারও চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। শূন্য হওয়া এসব পদে কে বা কারা আসছেন তা নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা থাকলেও তা নির্ভর করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সরকারের প্রশাসনের শীর্ষ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। এই দুজনেরই দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এর মধ্যে বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। তিনি ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। তার চাকরির বয়স ৫৯ বছর শেষ হলে প্রথমে এক বছর পরে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। খন্দকার আনোয়ার ১৯৮২ সালের বিসিএস বিশেষ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউসের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। বর্তমানে দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের চাকরির মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের বর্তমান বিকল্প নির্বাহী পরিচালক সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবরে।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আলী আজমের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ নভেম্বর। ইতিমধ্যেই বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়াকে। তাকে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর নতুন দায়িত্বে যোগ দেওয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগেই শেষ হচ্ছে বিডার বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের। তিনি সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ বিদায় নিচ্ছেন।

এছাড়াও চলতি বছরের ডিসেম্বর এবং আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে প্রশাসনের আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা অর্থাৎ সচিব চাকরি থেকে অবসরে যাচ্ছেন। এরা হলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন।  যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।  ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী।

এদিকে এসব পদে কাদের নিয়োগ করা হচ্ছে বা কারা পাচ্ছেন এসব পদে পদায়ন— এ বিষয়ে সচিবালয়ের সর্বত্র আলোচনা চলছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এসব পদে পদায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, পদায়ন, বদলি প্রশাসনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এছাড়া সরকারি চাকরি বিধি অনুসারে নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলে চাকরি থেকে অবসরে যাবেন এটিও একটি স্বাভাবিক নিয়ম। তবে এ বছরের মধ্যে সরকারের প্রশাসনের যেসব গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হবে সেসব পদে নিয়ম অনুসারেই পদায়ন করা হবে। যা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেবেন।

/এমআর/
বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ

আনিসুল হক (ফাইল ফটো)
‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণে রকেট সায়েন্স লাগে না’

ভ্লাদিমির পুতিন (ফাইল ছবি)
ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিনের বাজি শীতকাল?

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, আহমেদ কায়কাউস, আলী আজম ও  বেনজীর আহমেদ
প্রশাসনে যেসব শীর্ষ পদ শূন্য হচ্ছে

ডমিঙ্গোর কাছে জানতে চাইবে বিসিবি
ডমিঙ্গোর কাছে জানতে চাইবে বিসিবি

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদনের সময় বাড়লো

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৪ আগস্ট ২০২২, ১৯:৪৭

নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিতে আবেদনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলো আরও দুই মাস সময় পাচ্ছে। এর আগে তিন মাস সময় দিয়ে গত ২৬ মে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী ২৯ আগস্ট ছিল আবেদনের শেষ সময়। জানা গেছে, বুধবার গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অনুরোধে এই সময় বাড়ানো হয়। তিনি বুধবার (২৪ আগস্ট) ইসিতে গিয়ে এই অনুরোধ করেন।

ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান আবেদনের সময় বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই মাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

জানা গেছে, ইসির বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে এখন পর্যন্ত ১০টির মতো দল আবেদনপত্র তুলেছে। এদের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে দুটি দল। এদের একটি হলো বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, অন্যটির নাম বঙ্গবন্ধু দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ।

সর্বশেষ দল নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। সময় দেওয়া হয়েছিল ওই বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল ৭৬টি রাজনৈতিক দল। কেএম নূরুল হুদা কমিশন কাউকেই নিবন্ধন দেয়নি। তবে তাদের মধ্যে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস।

তার পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে ৪৩টি দল আবেদন করেছিল। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন সে সময়  বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, এই দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়।

সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০০৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো দলগুলোকে নিবন্ধন দেয়। সে সময় ১১৭টি দল আবেদন করেছিল। যাচাই- বাছাইয়ে পর নিবন্ধন পায় ৩৯টি দল। সবমিলিয়ে গত ১৪ বছরে মোট ৪৪টি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। এর মধ্যে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ও আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিলও করা হয়। ফলে বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি।

এ পর্যন্ত যে পাঁচ দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, সেগুলো হলো-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ফ্রিডম পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

/ইএইচএস/এমআর/

প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ শূন্য হচ্ছে। এ বছরের মধ্যেই বেশিরভাগ শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চাকরির বয়স শেষ হচ্ছে। কারও কারও চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। শূন্য হওয়া এসব পদে কে বা কারা আসছেন তা নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা থাকলেও তা নির্ভর করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সরকারের প্রশাসনের শীর্ষ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। এই দুজনেরই দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এর মধ্যে বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। তিনি ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। তার চাকরির বয়স ৫৯ বছর শেষ হলে প্রথমে এক বছর পরে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। খন্দকার আনোয়ার ১৯৮২ সালের বিসিএস বিশেষ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউসের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। বর্তমানে দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের চাকরির মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের বর্তমান বিকল্প নির্বাহী পরিচালক সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবরে।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আলী আজমের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ নভেম্বর। ইতিমধ্যেই বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়াকে। তাকে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর নতুন দায়িত্বে যোগ দেওয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগেই শেষ হচ্ছে বিডার বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের। তিনি সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ বিদায় নিচ্ছেন।

এছাড়াও চলতি বছরের ডিসেম্বর এবং আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে প্রশাসনের আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা অর্থাৎ সচিব চাকরি থেকে অবসরে যাচ্ছেন। এরা হলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন।  যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।  ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী।

এদিকে এসব পদে কাদের নিয়োগ করা হচ্ছে বা কারা পাচ্ছেন এসব পদে পদায়ন— এ বিষয়ে সচিবালয়ের সর্বত্র আলোচনা চলছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এসব পদে পদায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, পদায়ন, বদলি প্রশাসনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এছাড়া সরকারি চাকরি বিধি অনুসারে নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলে চাকরি থেকে অবসরে যাবেন এটিও একটি স্বাভাবিক নিয়ম। তবে এ বছরের মধ্যে সরকারের প্রশাসনের যেসব গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হবে সেসব পদে নিয়ম অনুসারেই পদায়ন করা হবে। যা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেবেন।

/এমআর/
বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ

আনিসুল হক (ফাইল ফটো)
‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণে রকেট সায়েন্স লাগে না’

ভ্লাদিমির পুতিন (ফাইল ছবি)
ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিনের বাজি শীতকাল?

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, আহমেদ কায়কাউস, আলী আজম ও  বেনজীর আহমেদ
প্রশাসনে যেসব শীর্ষ পদ শূন্য হচ্ছে

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদনের সময় বাড়লো

নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিতে আবেদনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলো আরও দুই মাস সময় পাচ্ছে। এর আগে তিন মাস সময় দিয়ে গত ২৬ মে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী ২৯ আগস্ট ছিল আবেদনের শেষ সময়। জানা গেছে, বুধবার গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অনুরোধে এই সময় বাড়ানো হয়। তিনি বুধবার (২৪ আগস্ট) ইসিতে গিয়ে এই অনুরোধ করেন।

ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান আবেদনের সময় বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই মাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

জানা গেছে, ইসির বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে এখন পর্যন্ত ১০টির মতো দল আবেদনপত্র তুলেছে। এদের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে দুটি দল। এদের একটি হলো বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, অন্যটির নাম বঙ্গবন্ধু দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ।

সর্বশেষ দল নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। সময় দেওয়া হয়েছিল ওই বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল ৭৬টি রাজনৈতিক দল। কেএম নূরুল হুদা কমিশন কাউকেই নিবন্ধন দেয়নি। তবে তাদের মধ্যে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস।

তার পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে ৪৩টি দল আবেদন করেছিল। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন সে সময়  বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, এই দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়।

সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০০৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো দলগুলোকে নিবন্ধন দেয়। সে সময় ১১৭টি দল আবেদন করেছিল। যাচাই- বাছাইয়ে পর নিবন্ধন পায় ৩৯টি দল। সবমিলিয়ে গত ১৪ বছরে মোট ৪৪টি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। এর মধ্যে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ও আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিলও করা হয়। ফলে বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি।

এ পর্যন্ত যে পাঁচ দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, সেগুলো হলো-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ফ্রিডম পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ শূন্য হচ্ছে। এ বছরের মধ্যেই বেশিরভাগ শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চাকরির বয়স শেষ হচ্ছে। কারও কারও চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। শূন্য হওয়া এসব পদে কে বা কারা আসছেন তা নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা থাকলেও তা নির্ভর করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সরকারের প্রশাসনের শীর্ষ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। এই দুজনেরই দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এর মধ্যে বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। তিনি ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। তার চাকরির বয়স ৫৯ বছর শেষ হলে প্রথমে এক বছর পরে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। খন্দকার আনোয়ার ১৯৮২ সালের বিসিএস বিশেষ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউসের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। বর্তমানে দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের চাকরির মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের বর্তমান বিকল্প নির্বাহী পরিচালক সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবরে।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আলী আজমের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ নভেম্বর। ইতিমধ্যেই বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়াকে। তাকে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর নতুন দায়িত্বে যোগ দেওয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগেই শেষ হচ্ছে বিডার বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের। তিনি সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ বিদায় নিচ্ছেন।

এছাড়াও চলতি বছরের ডিসেম্বর এবং আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে প্রশাসনের আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা অর্থাৎ সচিব চাকরি থেকে অবসরে যাচ্ছেন। এরা হলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন।  যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।  ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী।

এদিকে এসব পদে কাদের নিয়োগ করা হচ্ছে বা কারা পাচ্ছেন এসব পদে পদায়ন— এ বিষয়ে সচিবালয়ের সর্বত্র আলোচনা চলছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এসব পদে পদায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, পদায়ন, বদলি প্রশাসনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এছাড়া সরকারি চাকরি বিধি অনুসারে নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলে চাকরি থেকে অবসরে যাবেন এটিও একটি স্বাভাবিক নিয়ম। তবে এ বছরের মধ্যে সরকারের প্রশাসনের যেসব গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হবে সেসব পদে নিয়ম অনুসারেই পদায়ন করা হবে। যা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেবেন।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, আহমেদ কায়কাউস, আলী আজম ও  বেনজীর আহমেদ

নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিতে আবেদনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলো আরও দুই মাস সময় পাচ্ছে। এর আগে তিন মাস সময় দিয়ে গত ২৬ মে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী ২৯ আগস্ট ছিল আবেদনের শেষ সময়। জানা গেছে, বুধবার গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অনুরোধে এই সময় বাড়ানো হয়। তিনি বুধবার (২৪ আগস্ট) ইসিতে গিয়ে এই অনুরোধ করেন।

ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান আবেদনের সময় বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই মাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

জানা গেছে, ইসির বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে এখন পর্যন্ত ১০টির মতো দল আবেদনপত্র তুলেছে। এদের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে দুটি দল। এদের একটি হলো বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, অন্যটির নাম বঙ্গবন্ধু দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ।

সর্বশেষ দল নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। সময় দেওয়া হয়েছিল ওই বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল ৭৬টি রাজনৈতিক দল। কেএম নূরুল হুদা কমিশন কাউকেই নিবন্ধন দেয়নি। তবে তাদের মধ্যে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস।

তার পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে ৪৩টি দল আবেদন করেছিল। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন সে সময়  বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, এই দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়।

সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০০৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো দলগুলোকে নিবন্ধন দেয়। সে সময় ১১৭টি দল আবেদন করেছিল। যাচাই- বাছাইয়ে পর নিবন্ধন পায় ৩৯টি দল। সবমিলিয়ে গত ১৪ বছরে মোট ৪৪টি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। এর মধ্যে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ও আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিলও করা হয়। ফলে বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি।

এ পর্যন্ত যে পাঁচ দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, সেগুলো হলো-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ফ্রিডম পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা

প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ শূন্য হচ্ছে। এ বছরের মধ্যেই বেশিরভাগ শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চাকরির বয়স শেষ হচ্ছে। কারও কারও চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। শূন্য হওয়া এসব পদে কে বা কারা আসছেন তা নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা থাকলেও তা নির্ভর করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সরকারের প্রশাসনের শীর্ষ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। এই দুজনেরই দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এর মধ্যে বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। তিনি ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। তার চাকরির বয়স ৫৯ বছর শেষ হলে প্রথমে এক বছর পরে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। খন্দকার আনোয়ার ১৯৮২ সালের বিসিএস বিশেষ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউসের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। বর্তমানে দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের চাকরির মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের বর্তমান বিকল্প নির্বাহী পরিচালক সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবরে।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আলী আজমের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ নভেম্বর। ইতিমধ্যেই বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়াকে। তাকে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর নতুন দায়িত্বে যোগ দেওয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগেই শেষ হচ্ছে বিডার বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের। তিনি সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ বিদায় নিচ্ছেন।

এছাড়াও চলতি বছরের ডিসেম্বর এবং আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে প্রশাসনের আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা অর্থাৎ সচিব চাকরি থেকে অবসরে যাচ্ছেন। এরা হলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন।  যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।  ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী।

এদিকে এসব পদে কাদের নিয়োগ করা হচ্ছে বা কারা পাচ্ছেন এসব পদে পদায়ন— এ বিষয়ে সচিবালয়ের সর্বত্র আলোচনা চলছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এসব পদে পদায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, পদায়ন, বদলি প্রশাসনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এছাড়া সরকারি চাকরি বিধি অনুসারে নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলে চাকরি থেকে অবসরে যাবেন এটিও একটি স্বাভাবিক নিয়ম। তবে এ বছরের মধ্যে সরকারের প্রশাসনের যেসব গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হবে সেসব পদে নিয়ম অনুসারেই পদায়ন করা হবে। যা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেবেন।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, আহমেদ কায়কাউস, আলী আজম ও  বেনজীর আহমেদ
প্রশাসনে যেসব শীর্ষ পদ শূন্য হচ্ছে