গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘উন্নয়ন কখনো গণতন্ত্রের বিকল্প হতে পারে না। দেশ থেকে দশ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এই টাকা উন্নয়নের নামে লুটপাটের টাকা। দেশটা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। দেশে কোনো আইনের শাসন নাই। দেশের মানুষ অভাব-অনটনে জড়োসড়। এই অবস্থা থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করতে চাই।’
জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘তার নেতৃত্ব দেশে যেমন প্রতিষ্ঠিত ছিল, তেমনি বহির্বিশ্বে প্রশংসিত ছিল।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসন আমল সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি দেশকে খুশি করে ক্ষমতায় থাকা, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে না দেওয়া, এই সরকারের আমলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও কেউ ভোট দিতে পারে না। স্কুল কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনেও কেউ ভোট দিতে পারে না। নামাজ পড়ুক আর না পড়ুক মসজিদ কমিটি সেখানেও তাদের পছন্দমতো লোকদের দিয়ে কমিটি করা হয়। এই সরকার সবকিছু করায়ত্ব করে রেখেছে। দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে সবকিছু মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গেছে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন ক্ষমতা যাওয়ার জন্য নয়; আমাদের আন্দোলন হচ্ছে ক্ষমতার দখল নয়। আমাদের আন্দোলন হচ্ছে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা, গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা। এজন্য আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন-যাতে করে জনগণ বিনা বাধায় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। আমরা আশা করি, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হবো।’