একেই বলে ফুটবল, একেই বলে অনিশ্চয়তা। ৮ মিনিটে অফসাইডের কারণে বাতিল হওয়া গোল এবং ৭৪ মিনিটে জাপানের সমতায় ফেরা। আর ৮২ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে জাপান প্রমাণ করল—ফুটবলে ছোট-বড় বলে কিছু নেই। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, চারবারের রানার্সআপ দল জার্মানি পাত্তাই পেল না জাপানের বিপক্ষে। হেরে গেল ২-১ গোলের ব্যবধানে।
মধ্য বিরতি শেষে নতুন করে আক্রমণ শুরু করে জার্মানি। ৭০ মিনিটে জাপানের গোলরক্ষক সুইশি জার্মানির পরপর ৬টি আক্রমণ ঠেকিয়ে নিজের মুন্সিয়ানার পরিচয় দেন। দুই মিনিট পরে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় জাপান। কিন্তু জার্মান প্রহরী ম্যানুয়েল ন্যুয়ার সে সুযোগ দেননি। তবে ৭৪ মিনিটে জাপানকে আর আটকাতে পারেননি তিনি। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা রিতশু দোয়ান দলকে এনে দেন সমতা।
ম্যাচে ফিরে প্রাণ পায় জাপান। ৮২ মিনিটে সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবধান বাড়ান আরেক বদলি খেলোয়াড় তাকুমা আশানো। এতেই নিশ্চিত হয় জাপানের জয়। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ে জার্মান ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুদ্রিগার সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। বল গোল বারের পাশ দিয়ে চলে যায়।
ভেঙে পড়ে জার্মানির মনোবল। মরিয়া হয়ে ওঠে সমতায় ফেরার জন্য। গোল ছেড়ে জাপানের রক্ষণভাগে চলে আসেন ম্যানুয়েল ন্যুয়ার। ১১ জন মিলে জাপানের ওপরে করেন শেষ মুহূর্তের আক্রমণ। কিন্তু তাতে আর শেষ রক্ষা হয়নি। জাপানের বিপক্ষে কুপোকাত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জার্মানির।
এবারের কাতার বিশ্বকাপে এটি দ্বিতীয় অঘটন। গতকাল প্রথমটির জন্ম দিয়েছিল সৌদি আরব আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে। আজ এশিয়া বনাম ইউরোপের ম্যাচটিতে এশিয়ার জয় দেখে তৃপ্ত হয়েছেন বাঙালি।