প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয় না। এদেশকে আরো এগিয়ে নেওয়ার নামই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। এদেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার নাম হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। এদেশকে সোনার বাংলা বিনির্মাণের নাম হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। এদেশের প্রত্যেক নাগরিক একটি মানসম্পন্ন মানুষ হবে এর নাম হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ।’
বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা কাওসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিরল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর এবং বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে ধরে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার প্রত্যেক গ্রামে, প্রতিটি স্কুলে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছে। যেখান থেকে আমি অনুপ্রাণিত হব; আমার সন্তানরা অনুপ্রাণিত হবে। আমার পূর্ব পুরুষরা কীভাবে এদেশ সৃষ্টি করেছিল; কীভাবে আমার স্বাধীনতা এনে দিয়েছে; কীভাবে আমার জাতীয় পতাকা, আমার জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ দিয়েছে। কীভাবে আমার মাতৃভাষা বাংলাকে ধরে রেখেছে। কীভাবে আমার বাঙালি জাতিকে পৃথিবীর কাছে পরিচয় করে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর সে কথাই বলবে; সেই শিক্ষাই দিবে আমাদেরকে। সেই শিক্ষা যদি লাভ করতে পারি, তাহলে এ বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। আর সেই মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য এ কাজ একজনের নয়, একটা দলের নয়; এ কাজ হচ্ছে প্রতিটি নাগরিকের। আমরা সকলে মিলে যদি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই যে, আমরা এদেশকে তুলে ধরব; তাহলে নিশ্চয়ই এ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’
প্রতিমন্ত্রী এর আগে বিরল উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে বিরল উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা, শিক্ষাবৃত্তি ও বাইসাইকেল বিতরণ, আনসার সদস্যদের ব্যারাক উদ্বোধন, ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ বিতরণ, ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন, দুটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উদ্বোধন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের চেক বিতরণ করেন। প্রতিমন্ত্রী পরে বিরল উপজেলার সিঙ্গুল হামিদা উচ্চ বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করেন।