ঢাকা২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাদ পড়াদের ‘ক্ষমার কৌশল’ নির্ধারণে উপকমিটি গঠন

জনবার্তা প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ৭:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিদ্রোহী প্রার্থীসহ দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের জন্য বাদ পড়া নেতাকর্মীকে ক্ষমা করার কৌশল নির্ধারণে উপকমিটি গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে করা আবেদন ও তাঁদের অপরাধের ধরন চুলচেরা বিশ্নেষণ করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে এ কমিটি। দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন শেষ হওয়ার পরপরই উপকমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকটি ছিল বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের শেষ বৈঠক।

গত ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে বহিস্কার নেতাকর্মীকে সাধারণ ক্ষমার সিদ্ধান্ত হয়। দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করা এমন শতাধিক নেতাকর্মীর বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দলটি। একই সঙ্গে আগামীতেও যাঁরা এ ধরনের আবেদন করবেন, যাচাই-বাছাই করে তাঁদেরও ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাতীয় কমিটি।

তবে গতকালের বৈঠকে গণহারে ক্ষমার দলীয় কৌশল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কয়েক নেতা বলেন, এভাবে ঢালাও ক্ষমা করে দেওয়া হলে ভবিষ্যতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা বিভিন্ন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাবে। অনেকেই এ সুযোগ নিয়ে নতুন করে শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়ে উৎসাহিত হতে পারেন। এ পর্যায়ে ক্ষমা পাওয়া নেতাকর্মীর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে উপকমিটি গঠনের কথা জানান দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে শনিবারের জাতীয় সম্মেলনের আগে সময় কম থাকায় বিষয়টি নিয়ে সম্মেলনের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান দলীয়প্রধান।

বৈঠকে দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রের সংশোধনী বিষয়েও আলোচনা হয়। এ সময় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে মহিলা শ্রমিক লীগকে দলের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে আগে থেকে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা পাওয়া জাতীয় শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের মতো মহিলা শ্রমিক লীগও নিজ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

এ ছাড়া গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রের সংশোধনীর খসড়া সংযোজন-বিয়োজনসহ অনুমোদন করা হয়। এ ক্ষেত্রে এবারের সম্মেলনে গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রের খুব বেশি সংশোধনী আসছে না বলেও জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা।

বৈঠকে জাতীয় সম্মেলনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত ১১টি উপকমিটির নেতারা তাঁদের প্রতিবেদন পেশ করেন। সম্মেলনে উত্থাপনের জন্য সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের প্রতিবেদনও অনুমোদন করা হয় বৈঠকে। দলীয় সভাপতির জন্য বরাদ্দ (কো-অপ্ট) ১০০ কাউন্সিলর অনুমোদন করা হয়। আজ শুক্রবার এ কাউন্সিলরের তালিকা চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে।

এ ছাড়া বৈঠকে দলের যেসব সাংগঠনিক জেলায় এরই মধ্যে সম্মেলন হয়েছে, সম্মেলনের ৪৫ দিনের মধ্যে সেসব জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় সংশ্নিষ্ট জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ৭৩ বছরে আওয়ামী লীগের পথচলা, মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ১৯৮৩ সালে বাকশাল পুনর্গঠনের পর আওয়ামী লীগের নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে।

সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া বৈঠক দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা চলে। এরপর বৈঠকটি মুলতবি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। শনিবার জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বিদায়ী কার্যনির্বাহী সংসদের এ বৈঠক মুলতবি থাকবে। অবশ্য এর মধ্যে প্রয়োজনে যে কোনো সময় মুলতবি বৈঠক ডাকতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।