ঢাকা২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিদেশি প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না: শেখ পরশ

জনবার্তা প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩ ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিদেশি প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে যুবলীগের এক প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর ও ১১ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ‘পদযাত্রার নামে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে’ এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি বিভিন্ন অপচেষ্টা করবে। তারেক জিয়া চাচ্ছেন, বাংলাদেশে যাতে নির্বাচনটা না হয়। কারণ, তিনি মানি লন্ডারিং মামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তার বিরুদ্ধে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা চলছে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপির পদযাত্রায় কোনো জনসম্পৃক্ততা নেই। কারণ, তাদের অত্যাচারের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। ২০১৪ সালের অগ্নিসংযোগের কথা জনগণ ভুলেনি। সার ও বিদ্যুতের জন্য কৃষকদের ওপর গুলির কথা জনগণ ভুলে নাই। এজন্য তারা হতাশায় ভুগেছে এবং সেই হতাশা থেকে তারা দিক-বিদিক হারিয়ে ফেলেছে। তাদের সন্ত্রাসী চেহারা বের হয়ে আসছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে জনগণের কোনো আস্থা নেই। এর কারণ তারা প্রতারক গোষ্ঠী, জনগণের ভোট পেলে জনগণকে ভুলে যেতে তাদের দুই সেকেন্ডও লাগে না।

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামায়াত একটি জঙ্গি সংগঠন, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সংগঠন দেশকে ভালবাসে না, দেশের মানুষকে ভালবাসে না। এই সংগঠন যখনই রাজপথে এসেছে তখনই মানুষের জানমালের উপর হামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি যেকোন সময় মানুষের উপর হামলা করে জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারে। তাদের অতীত ইতিহাস সে কথাই বলে। ’৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাদের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার হোতা বিএনপির তারেক জিয়া। তাদের শাসন আমলের ভয়াবহ ইতিহাস বাংলার মানুষ জানে।

এদিন যুবলীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি অনুযায়ী এর মধ্যে ১৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের প্রতিবাদ সমাবেশ, ১৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় ফার্মগেটে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের প্রতিবাদ সমাবেশ, ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ঢাকা মহানগর ব্যতীত দেশের সব বিভাগীয় শহরে প্রতিবাদ সভা হবে। আর ১৯ ফেব্রুয়ারি (রোববার) দেশের প্রতিটি উপজেলা/থানা ও পৌরসভায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দেশের প্রতিটি জেলায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল। ২২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ঢাকা মহানগরে জাতীয় সংসদের আসনভিত্তিক এবং দেশের সব মহানগরের প্রতিটি থানায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল।

এ সময় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. হাবিবুর রহমান পবন, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহা: বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা: মো. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ ও উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।