বৃষ্টি কিছুটা বিড়ম্বনায় ফেললেও নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে চলছে বিএনপির মহাসমাবেশ। কয়েকদিন ধরে নানা আলোচনা-বিতর্ক আর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পর শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয় এ সমাবেশ। সমাবেশ শুরুর আগে ও পরে বৃষ্টি হলেও সমাবেশস্থল থেকে পিছপা হননি নেতাকর্মীরা।
আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরই নামে বৃষ্টি। এর মধ্যেই বক্তব্য ও কর্মসূচী চালিয়ে যান কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রায় আধা ঘণ্টা বৃষ্টির বাধা টলাতে পারেনি বিএনপি নেতাকর্মীদের। তুমুল বৃষ্টির মধ্যেই দাঁড়িয়ে থেকে নেতাদের বক্তব্য শোনেন তারা।
বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রবল বৃষ্টির মধ্যে নেতাকর্মীরা আজ নয়াপলটনের মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন। আমরা এবার সফল হবোই। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের ধৈর্যের প্রশংসাও করেন তিনি।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে নয়াপল্টনের সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নয়াপল্টন এলাকা ছাড়িয়ে ফকিরাপুল ও নটর ডেম কলেজ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অন্যদিকে শান্তিনগর, মৌচাক, কাকরাইল মসজিদ, সেগুন বাগিচাসহ বিজয় নগর কালভার্ট রোডে ছড়িয়ে পড়েন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, মালিবাগ, মৌচাক এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না সাধারণ মানুষকে।
মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের কয়েক হাজার সদস্য উপস্থিত রয়েছেন বিভিন্ন মোড়ে-মোড়ে। রাখা হয়েছে প্রিজনভ্যান, আর্মড ভেহিক্যাল, সাঁজোয়া যান ও জলকামান।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত তিন দিনে রাজধানী থেকে দলের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মহাসমাবেশ বানচাল করতে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।