আজ শুক্রবার সন্ধ্যায়ও সমাবেশস্থলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি নেতাকর্মীদের। সভাস্থলে ঢুকতে না পেরে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করছেন পুরো শহরে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, গত বুধবার থেকে আসা নেতাকর্মীদের নগরের ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু, নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থল ঢুকতে দেয়নি তারা। সারা দেশে এ পর্যন্ত বিএনপির আটটি সমাবেশ সম্পূর্ণ হলেও কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি।
নেতাকর্মীরা আরও জানান, মাঠের গেটে এবং মাঠের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান করছে। তারা মাঠের মধ্যে কোনো নেতাকর্মীকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। শুধু মঞ্চ তৈরির জন্য কিছু লোককে প্রবেশ করতে দিয়েছে। তাই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা ঈদগাহে অবস্থান করছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পুলিশি বাধা এবং হয়রানি উপেক্ষা করে এরই মধ্যে লাখো নেতাকর্মী শহরে প্রবেশ করেছেন। এরই মধ্যে অনেকেই রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের পাশে ঈদগাহ মাঠে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বাধা দিয়ে হয়রানি করে বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাগম ঠেকানো যাবে না।’
মিজানুর রহমান মিনু আরও বলেন, ‘ঈদগাহ মাঠে নেতাকর্মীদের থাকার জন্য তাঁবু টানানোর ব্যবস্থা করা হলেও পুলিশ প্রথম দিকে তাতেও বাধা দিয়েছিল। ফলে অনেক নেতাকর্মীকে রাতে খোলা আকাশের নিচে কাটাতে হয়।’
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর সাহেব বাজার, হোসনীগঞ্জ, ঘোষপাড়া ফায়ার সার্ভিস, লালনমঞ্চ, মোহনভুবণ পার্ক এলাকায় মিছিল করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলে বিএনপি ছাড়াও যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ওলামাদল আলাদা আলাদা ব্যানারে মিছিল করছেন। বগুড়া থেকে আসা পাচঁ শতাধিক যুবদলের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পুরো শহর মহড়া দিচ্ছেন।
রাজশাহীর পদ্মার পাড় বিজিবি মুক্ত মঞ্চ এলাকায় হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে কয়েক শতাধিক ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার।
জানা গেছে, রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের পুঠিয়া, বেলপুকুর, কাটাখালি ও তালাইমারি, রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের মোহনপুর, নওহাটা ও নওদাপাড়া এবং রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের গোদাগাড়ী ও কাশিয়াডাঙ্গামোড়ে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘নগরীর প্রবেশদারগুলোতে নিয়মিত চেকপোস্ট। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারি ও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। তবে, হয়রানি ও অনেককে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।’