ঢাকা২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হারমানকে আচরণ বদলাতে বললেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক

জনবার্তা প্রতিবেদন
জুলাই ২৪, ২০২৩ ১:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। গত শনিবার মিরপুরে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আউট হওয়ার পর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে স্টাম্পে ব্যাট দিয়ে সজোরে আঘাত করেছিলেন কৌর। এরপর ম্যাচ শেষেও বাংলাদেশের খেলোয়াড় ও আম্পায়ারদের উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করে বসেন তিনি। যা সুস্পষ্টভাবে ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা বিসিবির কর্মকর্তারাও ভারত অধিনায়কের এমন আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

পাশাপাশি দুই দলের ক্রিকেটাররা যখন ট্রফি নিতে মাঠে আসেন তখন, তিনি বলতে থাকেন আম্পায়ারদের মাঠে নিয়ে আসতে। যা মোটেই ভালোভাবে দেখেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনিও গোটা দল নিয়ে ড্রেসিংরুমে চলে যান। পরিস্থিতি যে মোটেই ভালো ছিল না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। হারমানপ্রীতের এই আচরণে অনেকেই অবাক যেমন হয়েছে, তেমনই সমালোচনাও করেছেন।

এবার হারমানপ্রীতকে নিজের এই আচরণের জন্য সতর্ক করলেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার আঞ্জুম চোপড়া। যিনি ভারতের হয়ে ১৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে ১২টি টেস্ট, ১২৭টি ওডিআই এবং ১৮টি টি-টোয়েন্টি রয়েছে। এছাড়া ৪১টি ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

সাবেক এই অধিনায়ক হারমানপ্রীতকে আচরণ বদলানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘সেই মুহূর্তে ও আগ্রাসন দেখিয়ে ফেলেছে। আমার ধারণা আগ্রাসন চলে গেলে এবং সে শান্ত হয়ে গেলে আমি নিশ্চিত সে সেছনে ফিরে তাকাবে এবং সম্মত হবে যে তার মতানৈক্য দেখানোর ক্ষেত্রে তাকে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অসন্তুষ্টি প্রকাশে কোনো ক্ষতি নেই, তবে সে কীভাবে এবং কখন এটি করবে তা এটির শব্দচয়নের ক্ষেত্রেও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’

খারাপ আম্পায়ারিং নিয়ে আঞ্জুম চোপড়া বলেন, ‘এই সিরিজে কোনো স্নিকোমিটার বা বল-ট্র্যাকিং ছিল না, ফলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া একটু কঠিন। কিন্তু যদি ভারতীয় দল অনুভব করে যে কয়েকটি সিদ্ধান্ত তাদের সঙ্গে যায়নি, তাহলে সেইগুলো কি আরও ভালোভাবে পরিচালনা করা যেত? কেন ভারতীয় অধিনায়ক ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনায় গিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন? পরিস্থিতি কীভাবে এই পর্যন্ত গড়াল? ভারতীয় দল শেষ পর্যন্ত খেলতে না পারায় তাদের হতাশার কারণ হতে পারে। তবে সেটা ড্রেসিংরুমের মধ্যেই রাখা যেতে পারত। এইভাবে জনসমক্ষে নিজের রাগ বের করা সঠিক ছিল না। বিরক্তি প্রকাশে কোনো ক্ষতি নেই, কিন্তু কীভাবে এবং কখন এটি করতে হবে। পাশাপাশি শব্দ চয়নের ক্ষেত্রেও ওর আরও নির্বাচনী হওয়া উচিত ছিল।’

বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় দলের পারফম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অঞ্জম চোপড়া। তিনি বলেন, ‘এটা মোটেই ভারকের জন্য ভালো সফর ছিল না। যখন কেউ সকালে ভারত-বাংলাদেশ এবং তারপরে সন্ধ্যায় মহিলাদের অ্যাশেজ দেখবে, তখন সম্পূর্ণ পার্থক্য দেখতে পাওয়া যাবে। মূল কারণগুলোর মধ্যে একটি হল পিচ। যে মুহূর্তে পিচ ভালো রান আসবে তখন সমান প্রতিযোগিতা দেখা যাবে।’