ঢাকা২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কবর জিয়ারতের সময় ৫ বিষয় খেয়াল রাখবেন

জনবার্তা প্রতিবেদন
মে ৮, ২০২৪ ৪:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কবর জিয়ারত একটি উত্তম আমল। এতে অন্তরে মৃত্যু ও পরকালের ভয় জাগ্রত হয়। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের কবর জিয়ারতে নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর জিয়ারত করো। কারণ, তা দুনিয়াবিমুখতা এনে দেয় এবং আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’ (ইবনে মাজাহ: ১৫৭১)

কবর জিয়ারতে যে ৫টি বিষয় খেয়াল রাখবেন
১. কবর সামনে রেখে দুহাত তুলে দোয়া করা শোভনীয় নয়। তাই কবরকে পেছনে রেখে কিংবা কবরের দিকে পিঠ দিয়ে এরপর কেবলামুখী হয়ে দোয়া করা উচিত। আবার কেউ চাইলে হাত না তুলে মনে মনেও দোয়া করতে পারেন। (ফাতোয়ায়ে আলমগিরি: খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৩৫০, কিতাবুল কারাহিয়্যা)

২. কবরস্থানে গিয়ে এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা শিরক কিংবা বিদআতের পর্যায়ে চলে যায়। যেমন কবরবাসীর কাছে কোনো কিছু কামনা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘ওই ব্যক্তির চেয়ে গোমরাহ আর কে হতে পারে, যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকে, যে কিয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দেবে না এবং তারা তাদের দোয়া সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা আহকাফ: ৫) নবী (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহকে বাদ দিয়ে কোনো শরিককে ডাকতে ডাকতে মারা যায়, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (বুখারি: ৪৪৯৭)

৩. কবরের মাটি ছুঁয়ে সালাম বা সেজদা করা যাবে না। হাদিসে এসেছে, ‘তোমাদের আগের লোকেরা নিজেদের নবী-ওলিগণের কবরকে সেজদাগাহ বানাতো। সাবধান! তোমরা কবরকে সিজদার জায়গা বানাবে না। আমি তোমাদের নিষেধ করে যাচ্ছি। (মুসলিম: ৫৩২/২৩; মেশকাত পৃ-৬৯)

৪. কবরে মানত বা দান-খয়রাত তথা গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি, ডিম ইত্যাদি দেওয়া যাবে না। কেননা মান্নত, দান-সদকা এসব একেকটি ইবাদত। আর ইবাদত কোনো মাখলুকের জন্য হতে পারে না। (সুরা বায়্যিনাহ: ৫; সুরা কাহাফ: ১১০) মৃত ব্যক্তিকে সওয়াব পৌঁছানোর পদ্ধতি এবং মৃতব্যক্তির গুনাহের কাফফারা হয় জীবিত গরিব, মিসকিন ও অসহায়দের দান-সদকা করলে। হাদিসে সেটাতেই উৎসাহিত করা হয়েছে। (বুখারি: ২৭৫৬; মুসলিম: ১৬৩০)

৫. কবরের পাশে কান্না করা, হা-হুতাশ করা যাবে না। ইসলামে এটি নিন্দনীয়। প্রিয় মানুষের কবরের পাশে গেলে মনের অজান্তে চোখের পানি চলে আসা স্বাভাবিক। তবে সেখানে গিয়ে হায়-হুতাশ করা ঠিক নয়। এই আশঙ্কার কারণেই নারীদের কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (স.) মহিলা কবর জিয়ারতকারী, তার ওপর মসজিদ নির্মাণকারী ও তাতে বাতি প্রজ্বালনকারীদের অভিশাপ দিয়েছেন। (আবু দাউদ: ৩২৩৬)

কবর জেয়ারত করবেন যেভাবে
কবরস্থানে গিয়ে প্রথমে সালামের উল্লেখসহ কবর জিয়ারতের দোয়াটি করবেন। এভাবে শুরু করবেন— السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْقُبُورِ يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ أَنْتُمْ سَلَفُنَا وَنَحْنُ بِالأَثَرِ ‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর; ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল আ-সার’ অর্থ: ‘হে কবরবাসী! তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের ক্ষমা করুন, তোমরা আমাদের আগে কবরে গিয়েছ এবং আমরা পরে আসছি।’ (তিরমিজি: ১০৫৩)

সালামসহ দোয়া এভাবেও করতে পারেন— السَّلامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤمِنينَ وإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاحِقُونَ ‘আসসালামু আলাইকুম দারা ক্বাওমিম মুমিনিন ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লা-হিকুন’ অর্থ: মুমিন এই ঘরবাসীদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। ইনশাআল্লাহ আমরা আপনাদের সঙ্গে মিলিত হবো। (মুসলিম: ২৪৯)

এরপর দরুদ শরিফ, সুরা ফাতিহা, সুরা ইখলাস, আয়াতুল কুরসি ও অন্য যেসব সুরা সহজ মনে হয়— সেগুলো পড়ে কবরবাসীর জন্য মাগফিরাতের দোয়া করবেন।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সহিহ সুন্নাহ অনুযায়ী কবর জিয়ারতের তাওফিক দান করুন। শিরক-বিদআত থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন। অন্তরে মৃত্যু ও পরকালের ভয় জাগ্রত করে নেক আমলের দিকে অগ্রগামী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।