ঢাকা১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৪শে জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে জনসাধারণ একাত্ম হবে, আশা ফখরুলের

জনবার্তা প্রতিবেদন
জুন ২৬, ২০২৪ ৫:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায় নিতে প্রথম দফায় তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের সাথে আপামর জনসাধারণ একাত্ম হবেন। আমাদের বিশ্বাস আমাদের সাথে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছেন আপনারা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছেন তারা অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তার মুক্তির কথা বলেছেন।’

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে দলের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। গত ২৩ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদপিণ্ডে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়েছে। তার এরকম শারীরিক অবস্থায় মুক্তি আন্দোলন কেন করতে যাচ্ছেন তার করার ব্যাখ্যা দেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে আরও বেগবান করা হবে। আমরা এই মুক্তির আন্দোলনকে একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আপনারা জানেন, কিছুদিন পরপরই তাকে হাসপাতালে আসতে হয়। এবার যে তিনি এসেছিলেন আল্লাহর অশেষ রহমতে যে তাকে আমরা ফিরে পেয়েছি। তার ফিরে আসার সম্ভাবনা খুব কঠিন ছিল যদি ঠিক সময়ের মধ্যে যদি ডাক্তার চিকিৎসা দিতে না পারতেন। এই অবস্থার মধ্যে আমাদের চিকিৎসকরা বার বার বলেছেন, তাকে বাইরে উন্নত কেন্দ্রে নেওয়া উচিত। কিন্তু সরকার তাকে যেতে দিচ্ছে না। তারা পরিকল্পিতভাবে আদালতকে ব্যবহার করে সেটা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এজন্য বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন জোরদার করার।

এই আন্দোলনের সাথে জনগণকে নিয়ে করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই দাবি জনগণকে সঙ্গে নিয়েই করছি। আমরা জনগণের কাছে প্রত্যাশা করব, জনগণ তাদের প্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার প্রাণ রক্ষা করা, তাকে মুক্ত বাতাসে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা করবে এবং তারা আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়বে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে সরকার আটক করে রেখেছে। এটা আইন বিরোধী, এটা সংবিধান বিরোধী। আপনার যেকোনো সাধারণ একজন মানুষের যদি পাঁচ বছরের সাজা হয় সে সাথে সাথে জামিন পেয়ে যায়। আপনি ইতিমধ্যে দেখেছেন, আমাদের দলেরই নেতৃবৃন্দ অনেকে আছেন যাদেরকে ১৩ বছর/১৪ বছর সাজা হয়েছে তাদেরকে জামিন দেয়া হয়েছে এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের এই ধরণের সাজা হওয়ার পরে তাদের প্রত্যেকটা মুক্ত করে দেয়া হয়েছে… তাদের মধ্যে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন, এমপি নমিনেশন পেয়েছেন। তাহলে শুধুমাত্র দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারেই এটার মানে হচ্ছে এরা (সরকার) বিধানটাকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন। আপনি জামিন দিতে পারবেন না এরকম কোনো বিধান নাই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা আর প্রাপ্য, এটা সাংবিধানিক অধিকার। এখনো উনার মামলা সুপ্রিম কোর্টের কাছে পেইন্ডিং আছে। সুতরাং এই বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ যে তারা (সরকার) তাদের পরিকল্পিতভাবে তাকে কারাগারে আটক করে রাখছে সেটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। আপনি দেখবেন কারা কারা জামিন পারে। সেখানে আছে বয়স্ক মহিলা, অসুস্থ মানুষ তারা জামিন পাওয়ার অধিকার রাখে। যত বড় মামলাই হোক।’