প্রিয় খাবার হলেও আইসক্রিম এড়িয়ে চলে তৃষা। এছাড়া উপায় কী? আইসক্রিমে কামড় বসালেই যে শিরশির করে ওঠে দাঁত। কোনো ঠান্ডা খাবারই তাই ঠিকমতো খেতে পারে না সে। তৃষার মতো দাঁত নিয়ে সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা কম নয়।
দাঁতে এনামেল নামক এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি দাঁতের স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নানা অনিয়মের কারণে এই উপাদানটি ক্ষয়ে যেতে পারে। ফলে দাঁতের ভেতরে থাকা স্নায়ুগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়। আর তখন ঠান্ডা খাবার বা পানীয় এই স্নায়ুগুলোর সংস্পর্শে এলে দাঁত শিরশির করে ওঠে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘টুথ সেনসিটিভিটি’ বলে।
এই সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি কাজে লাগাতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপায়-
লবণ জল
প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে লবণ। এটি ব্যাকটেরিয়া জমতে দেয় না। প্রতিদিন অন্তত দুই বার হালকা গরম লবণ পানিতে গার্গল বা কুলকুচি করে নিন। এতে দাঁত শিরশিরানি থেকে আরাম মিলবে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। অন্তত ৩০ সেকেন্ড এই পানি মুখে রাখতে হবে। দিনে ৩-৪ বার কুলকুচি করলে উপকার মিলবে।
হলুদ
রান্নাঘরের এই মশলাটিকে প্রাকৃতিক প্রদাহ নাশক বলা হয়। এক টেবিল চামচ হলুদ, আধা চা চামচ সরিষার তেল আর আধা চামচ লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দাঁতে লাগালে কমতে পারে দাঁতের শিরশিরানি। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান। এটি জীবাণুনাশক ও প্রদাহনাশক হিসেবে বেশ কার্যকর। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও এর ব্যবহার উল্লেখ রয়েছে।
রসুন
দাঁতের শিরশিরানি দূর করতে ভরসা রাখতে পারেন রসুনে। রসুনের কোয়া চিবিয়ে খেলে অ্যালিসিন নামে যৌগ তৈরি হয়। এই যৌগের অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল গুণ রয়েছে। দাঁতের সমস্যার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে এই যৌগটি।
ঘরোয়া উপায়গুলো কাজে লাগিয়েও যদি সমাধান না মেলে তাহলে একজন ভালো দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।