ঢাকা১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থ বানিজ্য
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. ইসলাম
  6. এভিয়েশন
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. জব মার্কেট
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশবাংলা
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হজ কখন ফরজ হয়

জনবার্তা প্রতিবেদন
মে ২, ২০২৪ ২:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হজ ইসলামি শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ। পবিত্র কোরআনের ভাষায়, وَلِلهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الْبَیْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَیْهِ سَبِیْلًا ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ করা ফরজ।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)

হজের মৌসুমে হজে যাওয়া-আসার খরচসহ সফরের দিনগুলোতে তার ও পরিবারের লোকদের স্বাভাবিক খরচের ব্যবস্থা থাকলে এবং দৈহিকভাবে হজ করার সক্ষমতা থাকলে তার ওপর হজ ফরজ হয়। কারো যদি মক্কায় যাওয়া-আসার সামর্থ্য থাকে কিন্তু হজের সফরের সময় পরিবারের ভরণপোষণের ব্যবস্থা না থাকে, তার ওপর হজ ফরজ নয়। কেউ যদি একা চলাফেরা করতে সক্ষম না হয়, তার ওপরও হজ ফরজ হবে না। স্থাবর সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রয় করে কেউ যদি হজ আদায় করতে সক্ষম হয় এবং হজ থেকে ফিরে এসে বাকি সম্পত্তি দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, তাহলেও তার ওপর হজ ফরজ। (ইমদাদুল আহকাম: ২/১৫২; আহসানুল ফতোয়া: ৪/৫১৬)

একইভাবে ব্যবসায়ীর দোকানে যে পরিমাণ পণ্য আছে, তার কিছু অংশ বিক্রয় করলে যদি হজ করা সম্ভব হয় এবং ফিরে এসে যদি বাকি পণ্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা যায়, তাহলে তার ওপরও হজ ফরজ। (ইমদাদুল আহকাম : ২/১৫৩)

তবে নারীদের জন্য হজের সফরে স্বামী বা মাহরাম পুরুষ সাথে থাকা শর্ত। (ফতোয়ায়ে শামি: ২/৪৫৫) মাহরাম না থাকলে সামর্থ্য থাকার পরও নারীদের ওপর হজ ফরজ হবে না। আবার মাহরামের খরচ বহনের সামর্থ্য না থাকলেও নারীদের ওপর হজ ফরজ নয়। তবে, মাহরাম যদি ফরজ হজ করতে যায়, সেক্ষেত্রে তার সঙ্গে গেলে খরচ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। (বাহরুর রায়েক: ২/৩৩৯)

হজ জীবনে একবারই ফরজ। কেউ যদি একাধিকবার করে, তবে তা হবে নফল হজ।’(বুখারি: ৭২৮৮)

কারো ওপর হজ ফরজ হলে তার দ্রুত হজ আদায় করে নেওয়া উচিত। অযথা দেরি না করতে বলেছেন নবীজি (স.)। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি হজ করার ইচ্ছে করেছে, সে যেন তাড়াতাড়ি তা করে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৭৩২)

হজ অনেক ফজিলতপূর্ণ আমল। হজ কবুল হলে মানুষ নিষ্পাপ হয়ে যায়। আর মাবরুর হজের বিনিময় হলো জান্নাত। মাবরুর হজ বলতে হজের কাজ ও বিধি-বিধানগুলো যথাযথা আদায় করাকে বুঝায়। (বুখারি: ১৭৭৩; মুসলিম: ১৩৪৯; আহমদ: ৭৩৫৪; সহিহ ইবনে হিববান: ৩৬৯৫)

ফরজ হজ না করার পরিণাম ভয়াবহ। তাদের বিষয়ে তাফসিরে এসেছে, তারা ইহুদি হয়ে মৃত্যুবরণ করল কি খ্রিস্টান হয়ে, তার কোনো পরোয়া আল্লাহর নেই।’ (ইবনে কাসির: ১/৫৭৮) হাদিসে কুদসিতে এসেছে, ‘যে বান্দাকে আমি দৈহিক সুস্থতা দিয়েছি এবং আর্থিক প্রাচুর্য দান করেছি, অতঃপর (গড়িমসি করে) তার পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়ে যায় অথচ আমার দিকে (হজব্রত পালন করতে) আগমন করে না, সে অবশ্যই বঞ্চিত।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৩)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজের বিধান উপলব্ধি করার এবং হজ ফরজ হলে তা যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।